প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১:০৬ অপরাহ্ন
২০১১ সালে ব্রিসবেনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সাদা পোশাকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ডেভিড ওয়ার্নারের। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে সিডনি টেস্ট দিয়েই লাল বলে নিজের ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন তিনি।
মাঝের এই এক যুগে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এই অজি ওপেনার, পরিণত হয়েছেন দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এক ওপেনারে। ঘরে মাঠে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজ খেলতে নেমেও কীর্তি গড়েন এই অজি তারকা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে মেলবোর্ন টেস্টে ওয়ার্নার যখন ব্যাটিংয়ে নামেন সব সংস্করণ মিলিয়ে তার রান ছিল ১৮ হাজার ৪৭৭। যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ। এই তালিকায় তার ওপরে ছিলেন দুই অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি রিকি পন্টিং ও স্টিভ ওয়াহ। বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম ইনিংসেই তা ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। আর এতেই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন ডেভিড ওয়ার্নার।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ওয়াহকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে বসতে ওয়ার্নারের প্রয়োজন ছিল ২০ রান। প্রথম ইনিংসে ৩৮ রানে আউট হওয়া ওয়ার্নারের রান এখন ১৮৫১৫। ৪৬০ ইনিংসে ৪৯ শতক ও ৯৩ অর্ধশতকে ওয়ার্নারের গড় ৪২.৫৬।
শীর্ষে থাকা পন্টিংকে হয়তো ছাড়ানো সম্ভব নয় ওয়ার্নারের। এখনো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের চেয়ে ৮৮৫৩ রানে এগিয়ে আছেন পন্টিং। তিনি খেলেছেন ৬৬৭ ইনিংস, গড় ৪৫.৮৪। শতক ৭০টি, অর্ধশতক ৭০টি।
ওয়াহর শতক ৩৫টি, অর্ধশতক ৯৫টি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শীর্ষ পাঁচে থাকা বাকি দুজন হলেন অ্যালান বোর্ডার ও মাইকেল ক্লার্ক। ৫১৭ ইনিংসে বোর্ডারের রান ১৭৬৯৮। গড় ৪০.৭৭, শতক ৩০টি , অর্ধশতক ১০২টি। ক্লার্ক ৪৪৯ ইনিংসে ৪৫.২৬ গড়ে রান করেছেন ১৭১১২। শতক ৩৬টি, অর্ধশতক ৮৬টি।
টেস্টে ওয়ার্নারের শতক ২৬টি, ওয়ানডেতে ২২টি আর টি-টোয়েন্টিতে ১টি। আর একটি শতক পেলেই ৫০তম শতকের মালিক হবেন অস্ট্রেলিয়ান এই ওপেনার। সেই রেকর্ডটা নিঃসন্দেহে মেলবোর্ন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস কিংবা বিদায়ী সিডনি টেস্টেই করতে চাইবেন।