প্রকাশ: রোববার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৬:২৪ অপরাহ্ন
মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান ইদ্রিস আলী মাষ্টারসহ গ্রামের একধিক নেতাকর্মীরা নৌকা ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাথে একাত্মতা প্রকাশের পর এবার যোগ হলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোখলেসুর রহমান খোকন। রবিবার সকালে তিনি প্রফেসর আবদুল মান্নানের বর্তমান বাসভবনে উপস্থিত হয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন। একে একে শীর্ষ নেতাদের যোগদান রীতিমত চমক সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে কোথাও কোথাও নৌকা প্রতীকের অফিস পরিবর্তন হয়ে রাতারাতি ট্রাকের অফিস করা হয়েছে। নৌকার মাঝিকে ‘ডোবানোর’ লড়াইয়ে আওয়ামী লীগের ৭৫ ভাগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এতে নৌকার প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে ওই দলেরই শীর্ষ নেতা ও তাদের অনুসারীরা। নৌকার পক্ষে নির্বাচন না করে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে জেতাতে কোমর বেঁধে মাঠে নামেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, অবমূল্যায়ণ, স্বতন্ত্র প্রার্থীর স্থানীয় প্রভাব এবং কারো বিরাগভাজন হতে না চাওয়ায় তৃণমূল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল মান্নান ছোট বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আওয়ামী লীগকে একটি পরিবারের মধ্যে কুক্ষিগত করে ফেলেছে। ৭১ সদস্য জেলা কমিটির মধ্যে তার প্রায় ২৫ জন তার পরিবারের সদস্য। বিভিন্ন স্কুল কলেজের ম্যানেজিং কমিটিতে তার স্ত্রী, ভাই, বোন ও বোন জামায় ও সে নিজে সভাপতি হয়েছে। স্থানীয় নেতা কর্মিদের কোন মুল্যায়ন করেনি। যে কারনে এবারের নির্বাচনে তৃণমুলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা তাকে প্রত্যাক্ষান করেছে।
মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল বলেন, মেহেরপুরের আওয়ামী লীগের কিছু কর্মী সমর্থক আছে যা কখোনো নৌকার বাইরে ভোট দেয়নি এমন কিছু সমর্থক তার সাথে ছিলো তারাও আমাদের সাথে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করছে। গতকাল কিছু সমর্থক আমাদের ট্রাকে উঠে পড়েছে। আজকেও বেশ কিছু চমক আছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নির্বাচনি পথসভাই তৃণমুলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। তাদের মানসন্মান নিয়ে কথা বলছে যা আমাদের জন্য আরও সুফল বয়ে আনছে। আশা করছি সাত তারিখ প্রর্যন্ত তার কাছে কোনো তৃণমুলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা থাকবেনা।