গাইবান্ধা-৫(সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন বলেছেন, ‘বিগত দশমাসে এলাকার উন্নয়নে বেশ ভুমিকা রেখেছি। রাস্তাঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরসহ বিভিন্ন হাট-বাজার উন্নয়নে কাজ করেছি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী প্রতিরক্ষা মূলক কাজের জন্য একনেকে ২৪৫ কোটি টাকার বরাদ্দ অনুমোদন হয়েছে। খুব শীঘ্রই দরপত্র আহবানের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে বালাসি থেকে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত টানেল নির্মাণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে আমার প্রথম কাজ। কারণ টানেল হলে উত্তরের জেলাগুলোর কাছাকাছি আসবে রাজধানী ঢাকা’। এছাড়া চরাঞ্চলে একটি হাসপাতাল ও কলেজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি, চরাঞ্চলের মানুষের স্থায়ী কর্মসংস্থানের জন্য অর্থনৈতিক জোন স্থাপন করা হবে। সাঘাটা ও ফুলছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে।
আজ শুক্রবার গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহামুদ হাসান রিপন আজ দিনব্যাপী সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে উঠোন বৈঠক ও পথসভায় ভোটারদের উদ্দেশ্যে এসব প্রতিশ্রæতি দেন। এছাড়া ঐতিহ্যবাহি ভরতখালি হাটসহ বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণা চালান। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারির উপ-নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মাহামুদ হাসান। তিনি ভোট চাওয়ার পাশাপাশি দোয়া চান। প্রতিদিন গণসংযোগ চালাচ্ছেন। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি, এমনকি ফসলের জমিতে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে দেখা করছেন। কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। মাহামুদ হাসান রিপন বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়। আশা করি ৭ জানুয়ারি ভোটাররা নৌকাকে বিজয়ী করবেন।’
এদিকে শীত উপেক্ষা করে চায়ের স্টলে চলছে ভোট নিয়ে আড্ডা। চলছে প্রার্থীদের মাইকিং। পোস্টারে পোস্টারে এলাকা ছেয়ে গেছে। স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণায় নৌকার প্রার্থী এগিয়ে আছেন। নৌকা সমর্থিত নেতাকর্মীরা জানান, মাহমুদ হাসান ২০০৬ সালের ৪ এপ্রিল থেকে ২০১১ সালের ১১ জুলাই পযন্ত— বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ সুবাদে দুই উপজেলার তরুণ ও যুব সমাজের মধ্যে তাঁর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তারা নির্বাচনে তাঁর পক্ষে কাজ করছেন। মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলী সরব থাকলেও লাঙ্গলের তেমন প্রচারণা নেই। ফলে নৌকা ও ফারজানার মধ্যেই মূল প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে বলে স্থানীয়ভাবে আলোচনা হচ্ছে। এ আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বদ্বতাকারী ছয়জন প্রার্থী হলেন মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতাউর রহমান সরকার (লাঙ্গল) ও স্বতন্ত্র ফারজানা রাব্বী বুবলী (ট্রাক), আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র শামসুল আজাদ শীতল (ঈগল পাখি), জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), ফারুক মিয়া (আম),।
এসব বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মোত্তালেব বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে এবার ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে দুই উপজেলা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। চরাঞ্চলে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার থাকবে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধার ৫টি আসনে ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন। এরমধ্যে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ১০ জন, গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে ৫ জন, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ি) আসনে ১১ জন, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে ৩ জন ও গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে ৬ জন।