প্রকাশ: বুধবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১০:৩০ অপরাহ্ন
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রংপুর সদর- ৩ আসন আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে। এই আসনে জাতীয় পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ১৮ ডিসেম্বর প্রর্তীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা প্রচারণার মাঠে থাকলেও জিএম কাদেরকে এখনও মাঠে দেখা যায়নি। সদরে প্রচারণার মাঠ কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম রানী। জিএম কাদেরের অনুপস্থিতি লাঙল প্রেমীদের হতাশ করেছে। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচনী মাঠে না থাকায় সচেতন মানুষও এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
জানা গেছে, ১৯৭৩ সালের পর থেকে এই আসনটি আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়। এরপর থেকে এখানকার মানুষ নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য চোখে দেখেনি। এবার নৌকা প্রেমীরা আশা করেছিলেন এই আসনে নৌকা প্রতীক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। কিন্তু আসন ভাগাভাগিতে এই আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রংপুর সদর আসনের মানুষ এই আসনে কখনও নৌকার মুখ দেখবে না। এটি জাতীয় পার্টিকে লিজ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সদর আসনে ১৯৭৩ আওয়ামী লীগের আলী উকিল নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পর ১৯৭৯ মুসলিম লীগের কাজী আব্দুল কাদের, ১৯৮৬ জাতীয় পার্টির শফিকুল গনি স্বপন, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির মোফাজ্জল হোসেন এমপি ছিলেন। এরপর ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টির হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এমপি ছিলেন। এইচএম এরশাদের মৃত্যু হলে ২০১৯ উপ-নির্বাচন সাদ এরশাদ নির্বাচিত হন।
সচেতন মহল ও নৌকা প্রেমী মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন , ৫০ বছর থেকে এই আসনে নৌকার কোনো এমপি নেই। জাতীয় পার্টি এই আসনকে তাদের নিজস্ব সম্পদ মনে করছে। নির্বাচনে অন্যান্য দলের প্রার্থীরা মাঠে থাকলেও জাতীয় পার্টির প্রাথী জিএম কাদেরকে এখনও নির্বাচনী মাঠে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের বক্তব্য, জিএম কাদের নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখবেন না। তা হবে রংপুরবাসীর জন্য চরম দুর্ভাগ্যের।
এদিকে সদর আসনে ৬ জন প্রার্থী থাকলেও মাঠে রয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গেল আনোয়ারা ইসলাম রানী। তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানুষ নির্বাচন বিমুখ হয়ে পড়েছে। নির্বাচনে আসতে চায় না। কিন্তু আমি যেখানেই যাচ্ছি, মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। মানুষের একটাই কথা, এবার ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার কোনো ইচ্ছে ছিল না। কেবল রানী আপাকে ভোট দিতেই কেন্দ্রে যাবো। মানুষের মাঝে একঘেয়েমি এসেছে। তারা এখন পরিবর্তন চাচ্ছে।
রানী বলেন, জাতীয় পার্টি ঘুঘুর মতো বারবার এখানে এসে ধান খেয়ে চলে গেছে। তারা রংপুরের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এবার আর মানুষ সে সুযোগ দেবে না। রংপুর-৩ আসনে গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জাতীয় পার্টি), আব্দুর রহমান রেজু (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), একরামুল হক (বাংলাদেশ কংগ্রেস), সহিদুল ইসলাম (জাসদ), আনোয়ারা ইসলাম রানী (স্বতন্ত্র), শফিউল ইসলাম (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।