প্রকাশ: শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৩, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
সূচনাটা দারুণ করেছিলেন দুই ওপেনার। টপঅর্ডাররাও ভালো করেছেন। তবে মিডলঅর্ডারে কেউ জ্বলে উঠতে পারলেন না। স্বাভাবিকভাবেই যা হওয়ার তাই হলো। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬২ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেলো পাকিস্তান।
পাহাড়সহ টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম উল হক ও আব্দুল্লাহ শফিক। উদ্বোধনী জুটিতে তারা তোলেন ১৩৪ রান। ফিফটি তুলে (৬৪) ফেরেন শফিক। পরক্ষণেই বিদায় নেন ইমাম (৭০। দুজনকেই শিকার করেন স্টয়নিস।
দুই ওপেনারকে হারানোর পর খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। সেই অবস্থায় অ্যাডাম জাম্পার ঘূর্ণির ফাঁদে পড়েন রানমেশিন বাবর আজম। এতে বিপাকে পড়ে দলটি। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন সৌদ শাকিল। তবে হঠাৎ পথভ্রষ্ট হন তিনি। ব্যক্তিগত ৩০ করে প্যাট কামিন্সের বলির পাঁঠা হন শাকিল।
পরে ইফতেখার আহমেদকে নিয়ে এগিয়ে যান রিজওয়ান। তাদের জুটিটা গড়েও উঠেছিল। রানও আসছিল দ্রুতগতিতে। ফলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে পাকিস্তান। কিন্তু ইফতেখার (২৬) ফিরলে বড় ধাক্কা খায় তারা। সেই রেশ না কাটতেই রিজওয়ান (৪৬) বিদায় নিলে সেই স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায়।
শেষদিকে আর কেউই ত্রাতা হয়ে উঠতে পারেননি। ফলে ৪৫.৩ ওভারে ৩০৫ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। এদিন পাক শিবিরে ত্রাস ছড়ান জাম্পা। মূলত তার ঘূর্ণিতেই পথ হারান বাবররা। তার শিকার ৪ উইকেট। তাকে যোগ্য সমর্থন ২টি করে উইকেট তুলে নেন কামিন্স ও স্টয়নিস।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্মাস্বামী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে দেখেশুনে খেলেন মিচেল মার্শ এবং ডেভিড ওয়ার্নার। ব্যক্তি ১০ রানে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে জীবন পান ওয়ার্নার। এরপর খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। হাত খুলে খেলেন মার্শও। এতে বন বন করে ঘুরতে থাকে অজিদের রানের চাকা। বিনা উইকেটে দলীয় ২৫৯ রান তুলে ফেলে তারা।
সেসময় মার্শকে উসামা মীরের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান আফ্রিদি। ফেরার আগে মার্শ ১০৮ বলে ৯ ছয় এবং ১০ চারে ১২১ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন তিনি। এ পথে ওয়ার্নারের সঙ্গে বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়েন মার্শ। ওয়ানডে ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটির মাইলফলক স্পর্শ করেন তারা। আর বিশ্বকাপে চতুর্থবারের মতো দুই ওপেনারের সেঞ্চুরির কীর্তি এটি।
মার্শ আউট হয়ে গেলেও অপরপ্রান্তে ব্যাটকে তরবারি বানিয়ে পাক বোলারদের কচুকাটা করেন ওয়ার্নার। দলীয় ৩২৫ রানে হারিস রউফের বলে শাদাব খানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে তার থামে ১২৪ বলে ৯ ছয় ও ১৪ চারের সাহায্যে করা ১৬৩ রানের অতিমানবীয় ইনিংস।
ওয়ার্নার ও মার্শের বিদায়ের পর রান তোলার গতি থামে অস্ট্রেলিয়ার। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। একে একে সাজঘরের পথ ধরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, স্টিভ স্মিথ, জশ ইংলিশ, মার্কাস স্টয়নিস ও মার্নাশ লাবুশেনরা। শেষ পর্যন্ত ৯ উিইকেটে ৩৬৭ রানে থামে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে শাহীন আফ্রিদি ৫টি, হারিস রউফ ৩টি এবং উসামা মীর ১ উইকেট লাভ করেন।