প্রথম বলেই উইকেট পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। আজ রোববার গায়ানায় প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভেজা আউটফিল্ডের কারণে দেরিতে খেলা শুরু হওয়ায় ম্যাচ দাঁড়িয়ে ৪১ ওভারে। এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ক্যারিবিয়ানরা ৭ ওভারে ১ উইকেটে করেছে ২৫ রান।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ফরম্যাটে এসে ঘুরে তাই দাঁড়ানোর চেষ্টায় সফরকারীরা। সেই মিশনে গায়ানার প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুতেই সাফল্য এনে দেন মোস্তাফিজ। এই পেসারের চমৎকার ডেলিভারি ঠিকমতো খেলতে পারেননি শাই হোপ। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ক্যারিবিয়ান ওপেনারের পায়ে লেগে বল আঘাত করে স্টাম্পে। ফলে রানের খাতা না খুলেই বিদায় নিতে হয় তাকে।
গায়ানার প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতেছে বাংলাদেশ। টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভেজা আউটফিল্ডের কারণে নির্ধারিত সময়ে হয়নি টস। ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট পর টস হয়েছে। যে কারণে দেরিতে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ওয়ানডে। গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে ৫০ ওভারের লড়াই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১০-৪৫ মিনিটে। দেরিতে খেলা শুরু হওয়ায় ওভার কমে গেছে। প্রথম ওয়ানডে হবে ৪১ ওভারে।
এই ম্যাচ দিয়ে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে স্পিনার নাসুম আহমেদের। ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পা রাখার পর এই প্রথম অন্য সংস্করণে অভিষেক হলো বাঁহাতি স্পিনারের। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে পেসার গুডাকেশ মোটির।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর ওয়ানডে সিরিজ ঘিরে স্বপ্নের জাল বুনছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। যে ফরম্যাটে বাংলাদেশ দল নিজেদের শক্তির সবটুকু উজাড় করে দিয়ে খেলে, সেই ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ঈদের দিনেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ। যেখানে লক্ষ্য একটাই- টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির ব্যর্থতা ঝেড়ে নতুন উদ্যমে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের পুরনো পরিসংখ্যান বেশ সমৃদ্ধ। সে কারণেই সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধছেন। ২০০৯ সালে ৩-০ ব্যবধানে ক্যারিবীয়দের হারিয়েছিল সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে। ২০১৮ সালে মাশরাফি বিন মুর্তজার হাত ধরেও সিরিজ জয় এসেছে ২-১ ব্যবধানে। শেষ ৮ মুখোমুখিতে তারা বাংলাদেশকে হারাতেই পারেনি।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটকিপার), মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), শাই হোপ, রোভম্যান পাওয়েল, শামারাহ ব্রুকস, ব্রেন্ডন কিং, কাইল মায়ার্স, রোমারিও শেফার্ড, অ্যান্ডারসন ফিলিপ, গুডাকেশ মোটি, জেডেন সিলস, আকিল হোসেইন।