প্রকাশ: রোববার, ১০ জুলাই, ২০২২, ১১:৩৬ অপরাহ্ন
শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা প্যানেলে নিয়োগের দাবিতে অনশন করেছে ঈদের দিনেও। আজ রোববার সকালে রাজধানীর শাহবাগের ৩৬ দিনের অনশনরত অবস্থায় ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। বিকালে আন্দোলন চলাকালে তারা আবারও দাবি তোলেন, ১৬তম নিবন্ধনধারীদের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্যানেলভিত্তিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের।
আর রোববার সকাল ১০টার দিকে ঈদের জামাতে অংশ নেওয়ার পর তিন দফা দাবিতে দিনভর প্যানেলে চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করেন। প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি আমির হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আমাদের সমস্যার সমাধান চাই। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে কথা না বলেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করছে।
সভাপতি জানান, গত মাসে স্মারকলিপির মাধ্যমে সব নিবন্ধনধারীদের ক্রমানুসারে নিয়োগের জন্য তিন দফা দাবি জানানো হয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যানের কাছে। প্যানেল প্রত্যাশী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জি এম ইয়াসিন বলেন, শিক্ষক সংকট দূর করতে নিয়োগ সহজ করে আমরা প্যানেল দাবি করছি। নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পাওয়ার দাবি জানাচ্ছি। তাহলে কেন নিয়োগের জন্য আন্দোলন করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, টানা ৩৬ দিন অনশন পালন করছি। ঈদের দিনে যখন সবাই ঈদ উৎসব করছে তখন আমরা শিশু সন্তানদের নিয়ে রাজপথে আন্দোলনে আছি। প্যানেলভিত্তিক নিয়োগে আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, এনটিআরসিএ এর সফলতার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কমিটির নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেধাবী শিক্ষক পাচ্ছে এবং সরকারের উন্নত শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন সহজ হচ্ছে। ইতোমধ্যে তিনটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কয়েক হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রথম থেকে পঞ্চম, ষষ্ঠ থেকে ১২তম এবং ১৩তম থেকে ১৬তম ব্যাচের প্রার্থীদের তিনবার পৃথকভাবে নিবন্ধন পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। অথচ আমরা নিয়োগ পাইনি। এক ব্যাচের প্রার্থীদের নিয়োগ শেষ না হতেই পরবর্তী ব্যাচের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সে কারণে সব প্রার্থী নিয়োগ পায়নি। তাই সব নিবন্ধনধারীদের চাকরি নিশ্চিত করতে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করতে তিন দফা দাবি পেশ করা হচ্ছে।
প্যানেল প্রত্যাশীদের তিন দফা দাবি
১. ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা করা যা ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
২. বর্তমান নিবন্ধন সনদ পাওয়া সবার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রাখা।
৩. এক আবেদনে সব নিবন্ধনধারীদের (প্রথম থেকে ১৬তম ব্যাচ) ক্রমানুসারে প্যানেল করে নিয়োগ দিতে হবে।