প্রকাশ: শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২, ৪:৪৫ অপরাহ্ন
দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে নিজেদের দখলে রাখা ইউক্রেনের ঐতিহাসিক চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছেড়ে চলে গেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এমনটাই দাবি করছে কিয়েভ। খবর আল জাজিরা।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা এনারগোএটমের তথ্য অনুযায়ী, চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কর্মীরা জানান, বর্তমানে সেখানে কোনো ‘বহিরাগত’ নেই।
এর আগে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রথম দিনেই ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই পরমাণু স্থাপনাটি দখল করে নিয়েছিল রুশ সেনারা।
রাশিয়ার সৈন্যরা চেরনোবিল প্লান্টের সবচেয়ে দূষিত অংশে পরিখা খনন করেছে এবং বিকিরণের ‘উল্লেখযোগ্য ডোজ’ পেয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।
এর আগে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রটির একটি গবেষণাগার ‘লুট ও ধ্বংস’ করার অভিযোগ করে ইউক্রেন। ইউক্রেনের স্টেট এজেন্সি ফর এক্সক্লুশন জোন ম্যানেজমেন্ট গত ২২ মার্চ জানায়, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী তাদের সেন্ট্রাল অ্যানালাইটিক্যাল ল্যাবরেটরিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই ল্যাবরেটরিটি বহু তেজস্ক্রিয় বর্জ্য প্রক্রিয়া করে থাকে।
রাষ্ট্রীয় এই সংস্থাটি সেসময় ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এই পরীক্ষাগারে ‘অত্যন্ত সক্রিয় নমুনা এবং রেডিওনুক্লাইডের নমুনা রয়েছে, যা আজ শত্রুর অধীনে রয়েছে’। সংস্থাটির দাবি, প্রায় ৬০ লাখ ইউরো খরচ করে স্থাপন করা এই গবেষণাগারে ‘মূল্যবান বিশ্লেষণাত্মক সরঞ্জাম’ রয়েছে যা ইউরোপের অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
প্রসঙ্গত, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দিনটি ‘চেরনোবিলের বিপর্যয়’ হিসেবে পরিচিত।
সোভিয়েতের পতনের পর চেরনোবিল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বর্তমান ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্ত হয়। এই পারমাণবিক দুর্ঘটনাকে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ও বিপর্যয় হিসেবে মনে করা হয়ে থাকে।