প্রকাশ: শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৫:৫৫ অপরাহ্ন
এই নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনে নিষিদ্ধ হলেন ট্রাম্প। কলোরাডোর পর মেইনেও আনুষ্ঠনিকভাবে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে ডনাল্ড ট্রাম্প অযোগ্য ঘোষিণা করা হয়েছে।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলের দাঙ্গায় ট্রাম্পের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তাকে প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইয়ে অযোগ্য ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে তার লিখিত সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, “জনাব ট্রাম্পের প্রাথমিক আবেদনটি অবৈধ, এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি আমি। বিশেষভাবে আমি দেখতে পেয়েছি যে, তার প্রার্থীর সম্মতিপত্রের ঘোষণাটি মিথ্যা কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর তিন নম্বর ধারা অনুযায়ী তিনি প্রেসিডেন্ট পদের যোগ্য নন।”
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর তিন নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘বিদ্রোহে জড়িত এমন লোক বেসামরিক অথবা সামরিক পদে বসতে পারবে না।”
১৮৬০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ চলাকালে বিদ্রোহী রাজ্যগুলোর রাজনীতিকদের অযোগ্য ঘোষণার জন্য প্রাথমিকভাবে এই ধারাটি সংযোজন করা হয়েছিল।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। তবে তার প্রার্থীতার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টে নির্ধারিত হবে, কারণ কলোরাডো নির্বাচনে ট্রাম্পকে অযোগ্য ঘোষণা করলেও অঙ্গরাজ্যটির রিপাবলিকানরা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের একদল সমর্থক রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর পর কিছু সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবন দখল করে নিয়েছিল। ওই সময় সেখানে মার্কিন কংগ্রেসে নির্বাচনের বাইডেনের জয়ের স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছিল। ট্রাম্পের সমর্থকদের হামলায় সেই প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটেছিল।
এই ঘটনার জন্য ট্রাম্পকে দায়ী করে তিনি তার সমর্থকদের উস্কে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করে আসছে ডেমোক্র্যাটরা। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে ‘কারচুপি’ করে হারানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু তার অভিযোগের প্রতি সমর্থন জানানো সমর্থকদের ক্যাপিটলে হামলার ক্ষেত্রে তার কোনো ভূমিকা ছিল না দাবি করেছেন ট্রাম্প। তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।