প্রকাশ: সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৫:৪০ অপরাহ্ন
আজ সোমবার ভারতের পার্লামেন্টে ‘দ্য টেলিকমিউনিকেশন বিল-২০২৩’ এর খসড়া উত্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, প্রয়োজন হলে যে কোনো টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারবে সরকার।
ভারতের যোগাযোগমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দেশটির পার্লামেন্টে এই বিল পেশ করেন। গত সপ্তাহে সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যের দাবিতে বিরোধীদের বিক্ষোভ শুরু হয় সোমবার। এর মধ্যেই এই বিল উত্থাপন করা হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, এই আইন কার্যকর হলে জননিরাপত্তা ও জরুরি পরিস্থিতিতে যে কোনো মোবাইল অপারেটরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারবে সরকার। এমনকি রাজ্যও এই এখতিয়ার পাবে।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বা জননিরাপত্তার স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার অথবা কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত কোনো কর্মকর্তা যদি মনে করেন এটি করা প্রয়োজন বা সমীচীন, তাহলে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোনো অনুমোদিত সংস্থার কাছ থেকে কোনো টেলিযোগাযোগ পরিষেবা বা টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের সাময়িক নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে। তবে গণমাধ্যমকর্মীর ক্ষেত্রে এই আইন সবসময় প্রয়োগ করা যাবে না।
খসড়া আইনে আরও বলা হয়েছে, সরকার জননিরাপত্তার স্বার্থে মানুষের মধ্যে যে কোনো বার্তা চালাচালিতে বাধা দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে। এটি সরকারকে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থগিত করার ক্ষমতা দেয়। বার্তার বেআইনি ইন্টারসেপশনের কারণে তিন বছর পর্যন্ত জেল এবং দুই কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়ই হতে পারে।
খসড়া আইনটি ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ অ্যাক্ট-১৮৮৫, ইন্ডিয়ান ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফি অ্যাক্ট—১৯৩৩ ও টেলিগ্রাফ ওয়্যারস (বেআইনি দখল) অ্যাক্ট, ১৯৫০-এর পরিবর্তে আনা হচ্ছে। সরকার বলছে, আগের আইনগুলো ব্রিটিশ আমলের। এগুলো নতুন করা প্রয়োজন।