প্রকাশ: রোববার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৯:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: রোববার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৯:৪১ অপরাহ্ন
সুন্দরবন ঘেঁষা পশুর নদীর পাড়ে একের পর এক গড়ে উঠেছে এলপিজির কারখানা। বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা এসব জ্বালানি মজুতের পাশাপাশি বোতলজাতও করা হচ্ছে এখানে। বিশ্বব্যাপী সমাদৃত এবং পরিবেশবান্ধব এলপিজি এখন বড় ভরসা বাংলাদেশের গৃহস্থালি ও বাণিজ্যিক খাতে।
অব্যাহত ডলার সংকটের ফাঁদে দেশের তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) শিল্প। চাহিদামতো ঋণপত্র খুলতে না পারায় টান পড়েছে বিক্রিতে। ফলে ঋণের কিস্তি পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
তাদের মতে, এই খাতে বিশেষ সুবিধা না দিলে ঝুঁকিতে পড়বে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ।
ব্যবসায়ীদের হিসাবে, প্রতি বছর দেশে জ্বালানি পণ্যটি সরবরাহ করা হচ্ছে ১৫ লাখ টনের মতো। অথচ ৩০টি প্রতিষ্ঠানের সেই সক্ষমতা রয়েছে অন্তত ১০ গুণ। এমন অবস্থায় নতুন করে ভোগাচ্ছে ডলার সংকট। এনার্জিপ্যাকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান জি-গ্যাসের অভিজ্ঞতা হলো, আগে প্রতিমাসে ৫ হাজার টনের অন্তত ২টি কার্গো আমদানি করা গেলেও এখন মিলছে না ১টিও। ফলে কষ্ট হচ্ছে পরিচালন ব্যয় মেটাতে।
সংশ্লিষ্ট এক ব্যবসায়ী বলেন, ডলার সংকট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আমরা এলসি খুলতে পারছি না। ব্যাংকও তা খোলাতে পারছে না।
কারণ, মার্কিন মুদ্রাটির সরবরাহ নেই। তবু ব্যবসাটা আমরা চালাচ্ছি। কারণ, যে করেই হোক আমাদের তা চালাতে হবে। তবে এভাবে তা বেশি দিন চালানো যাবে না।
এই খাতের মূল চ্যালেঞ্জই হলো মোটা বিনিয়োগ। যার বেশিরভাগই এসেছে ব্যাংক থেকে। তাই সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হলে খেলাপি হওয়ার দুশ্চিন্তাও থাকে উদ্যোক্তাদের। আর তাদের হিসাবে, প্রায় সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের শিল্পে শীর্ষ পাঁচ প্রতিষ্ঠানই দখলে রেখেছে বাজারের অন্তত ৬০ শতাংশ। ফলে এই দৌঁড়ে টিকে থাকার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন তুলনামূলক ছোট উদ্যোক্তারা।
ক্ষুদ্র এক উদ্যোক্তা বলেন, একটি দেশে ৩০টি এলপিজি সরবরাহকারী থাকার কথা নয়। যেকোনও ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে কিংবা মার্কেটে যদি বিপর্যয় হয়, সেক্ষেত্রে কিছু কোম্পানি উঠে যাবে। ফলে ব্যবসায়ীরা দেশের সেই সার্বিক পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে প্রতি বছর এলপিজি জ্বালানির চাহিদা বাড়ছে ৮ থেকে ১০ শতাংশ হারে।