বাজারে প্রচুর সরবরাহ থাকার পরেও লাগামহীন সবজির দাম। ৬০ এর নিচে তেমন কোনো সবজি নেই বললেই চলে। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ-মাংস। মৌসুম শুরু হলেও কিছুতেই কমছে না আলু ও পেঁয়াজের দাম। আপাতত সুখবর নেই সবজির বাজারে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা পিস, বাধাকপি ৪০-৫০ টাকা, শিম ৮০-১০০, টমেটো ৯০-১০০, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, করল্লা ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, ঢেরস ৭০-৮০ টাকা মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা এবং কচুর লতি ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে কিছুটা কমে বিক্রি হয়েছে।
এছাড়াও শাকের মধ্যে সরিশা শাকের আটি ১৫ টাকা, ডাটা শাক ১৫ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০-৫০ টাকা, পুইশাক ৩০ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকা আটিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারের দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে প্রচুর নতুন আলু ও পেঁয়াজের সরবরাহ থাকলেও কমছে না দাম। বরং উল্টো বেড়েছে আলুর দাম। ৯০-১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে নতুন পেঁয়াজ, পুরাতন পেঁয়াজ ১৩০-১৫০ টাকা। নতুন আলু ৭০-৮০ টাকা, পুরাতন আলু ৬০-৭০ টাকা রসুন ২২০-২৪০ টাকা, আদা ২২০-২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে অস্বস্তি রয়েই গেছে মাছ-মাংসের বাজারে। ব্রয়লা মুরগী ১৯০-১৯৫ টাকা, সোনালি ৩০০-৩৩০ টাকা। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩০-১৪০ টাকা ও ৫-১০ টাকা কমে সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের দাম প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। যা গেল সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে। পাঙ্গাশ ১৯০-২০০ টাকা। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এছাড়াও ৬০০ টাকার নিচে নেই পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছ।