প্রকাশ: শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৪:২৯ অপরাহ্ন
ভারতের উত্তর প্রদেশে এক নারী বিচারক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। আর দীর্ঘদিন ধরে ওই ঘটনার বিচার না পেয়ে আত্মহত্যার অনুমতি চেয়ে প্রধান বিচারপতির খোলা চিঠি দিয়েছেন তিনি। ভুক্তভোগী নারী বিচারক গতকাল বৃহস্পতিবার একটি খোলা চিঠিতে এই অনুমতি চান।
এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দেশটির প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে এক খোলা চিঠি দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের এক নারী বিচারক। বারাবাঙ্কিতে তার আগের কর্মস্থলে জেলা জজ ও তার সহযোগীদের দ্বারা তিনি যৌন হয়রানির শিকার হন বলে দাবি ওই বিচারকের। চিঠিটি প্রধান বিচারপতির নজরে এলে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
উত্তর প্রদেশের বান্দা জেলার সেই নারী বিচারক প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে খোলা চিঠিতে লিখেছেন, ‘দয়া করে মর্যাদাপূর্ণ উপায়ে আমার জীবন শেষ করার অনুমতি দিন। আমার জীবন শেষ হোক।’ এ সময় তিনি লেখেন, ‘যৌন হয়রানির সর্বোচ্চ মাত্রার শিকার আমি হয়েছি। আমার সঙ্গে আবর্জনার মতো আচরণ করা হয়েছে। নিজেকে নর্দমার কীট মনে হচ্ছে।’
চিঠিতে তিনি বলেছেন, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে হাইকোর্টের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির কাছে অভিযোগ দায়ের করার পর তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়। তবে সেই তদন্তকে ‘প্রহসন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন ওই নারী বিচারক। তিনি লেখেন, ‘তদন্তের সাক্ষীরা জেলা জজের অধস্তন। সাক্ষীরা তাদের বসের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে-কমিটি কীভাবে এমন আশা করলো, তা আমার বোধগম্য নয়।’
চিঠিতে নারী বিচারক আরও বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতের জন্য তিনি অভিযুক্ত বিচারকের বদলির অনুরোধ করলেও সেই আবেদন সুপ্রিম কোর্ট মাত্র আট সেকেন্ডেই খারিজ করে দেন।
এদিন বিষয়টি নজরে আসার পর প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের সচিব অতুল এম কুর্হেকার এলাহাবাদ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি লিখেছেন। নারী বিচারকের সব অভিযোগ সম্পর্কে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালের মধ্যে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছ থেকে প্রতিবেদন চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি।