প্রকাশ: শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১০:৩২ পূর্বাহ্ন
রাজধানীর বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগি ও ডিমের দাম আবার বেড়ে গেছে। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। চিনি ও ভোজ্য তেলের দামও বেড়েছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় বাজারে এই মসলা পণ্যের দাম কমলেও রসুন বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। বাজারে সরবরাহ বাড়ায় নতুন আলুর দাম কিছুটা কমেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, তেজগাঁও, মহাখালী কাঁচাবাজার ও বাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম বেড়ে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা ও সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়ে ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন এখন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের মা আয়েশা ব্রয়লার হাউসের ব্যবসায়ী মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘সোনালি ও ব্রয়লার দুটির দামই বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায়, এখন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগি ছিল মানভেদে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি, এখন দাম বেড়ে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা হয়েছে।’
তেজগাঁওয়ের ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আমানত উল্লাহ বলেন, ‘চাহিদা বাড়ার কারণে ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে এর চেয়ে কম দামে ডিম বিক্রি করলে খামারির কিছু থাকবে না। আজ (গতকাল) পাইকারিতে প্রতিটি ডিম ৯ টাকা ৭০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে।’ বাজারে ডিমের দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।
রাজধানীর বাজারগুলোতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। এতে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমেছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজ মানভেদে খুচরায় ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি ও পুরনো দেশি পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। দেশি রসুন কেজি ২৪০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ২২০ টাকা কেজি।
বাড্ডা বাজারের পেঁয়াজ ও আলু ব্যবসায়ী মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চলে আসার কারণে পুরনো পেঁয়াজ ও আলুর দাম কমেছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম পুরনো পেঁয়াজের চেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক কম। তাই ৯০ শতাংশ মানুষ মুরড়িকাটা পেঁয়াজ কিনছেন। নতুন আলুর দাম বেশি হওয়ার পরও ক্রেতারা এটি বেশি কিনছেন।’