শীতকালে আগুন পোহানো শেষে গরম ছাইয়ের সংস্পর্শে আসার কারণে শিশুর ত্বক পুড়ে যেতে পারে। তাই এসময় শিশুদের দিকে বিশেষ নজর দেয়া উচিত। সামান্য পুড়ে যাওয়ার বিষয় বাসায় সামাল দেয়া যায়, কিন্তু কখনো কখনো তা প্রাণঘাতী হতে পারে। গুরুতর পরিস্থিতিতে শিশুকে দ্রুত জরুরি সেবা দিতে হবে।
করণীয়
* শিশু মারাত্মকভাবে পুড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করতে হবে।
* হাসপাতালে নেওয়ার আগে পোড়া অংশ থেকে কাপড়-চোপড় সরিয়ে নিতে হবে।
তবে কাপড়ের কোনো অংশ পুড়ে যাওয়া ত্বকে লেগে থাকলে তা ছড়ানোর চেষ্টা করা যাবে না।
* ব্যথা উপশম না হওয়া পর্যন্ত ঠাণ্ডা পানির প্রবাহ (বরফ না) পোড়া অংশে ঢালতে হবে।
* পোড়া স্থান আলতোভাবে গজ-ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
* শিশুর যদি জ্ঞান থাকে, তবে ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে।
* পোড়াস্থানে কোনো মলম, ঘি বা অন্যান্য কিছু লাগানো যাবে না। তাতে পোড়া অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
* ফোসকা দেখা দিলে, তা গলে না দেওয়া।
কখন জরুরি সেবা প্রয়োজন
* আগুন লেগে বা বৈদ্যুতিক তার কিংবা কেমিক্যাল থেকে শরীর পুড়ে গেলে।
* যদি মুখে, হাতে, পায়ে, জয়েন্টে বা যৌনাঙ্গ পুড়ে গেলে।
প্রতিরোধ
* মোমবাতি, হিটার কিংবা গরম ইস্ত্রি ব্যবহারে সতর্ক থাকা।
* গরম পানি ব্যবহারের সময় সতর্ক হওয়া।
* শিশুকে গোসল করানোর আগে বাথটাব বা বালতির পানি নিজে ছুঁয়ে পরীক্ষা করে নেওয়া।
* রান্নাবান্নার সময় রান্নাঘরে শিশুকে খেলতে না দেওয়া।
* আগুন লাগলে যাতে দ্রুত ঘর থেকে বের হওয়া যায়, সে রকম ব্যবস্থা রাখা।
* তাপ পোহানো শেষে ছাই ঠিকভাবে নেভানো হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করা।
যা যা করবেন না
* আক্রান্ত স্থানে ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি বা বরফ লাগানো থেকে বিরত থাকবেন।
* টুথপেস্ট, স্যাভলন বা স্পিরিট জাতীয় কোনো কিছু লাগাবেন না।
* চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোনো মলম ব্যবহার করবেন না।
* শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে হাসপাতালে নিতে দেরি করবেন না।