প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৫:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৫:৩৯ অপরাহ্ন
২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। এরপর টানা চার মেয়াদে ফেডারেশনের প্রধান কর্তা হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত ধরে রেখেছেন তিনি।
২০২৩ সালে মালাউই'র সাথে ড্রয়ে শুরু, লেবাননের সাথে ড্রয়ে বছর শেষ বাংলাদেশের। মোট ১৪ ম্যাচ খেলে সমান ৫টি করে জয়-ড্র আর চার ম্যাচে হার মানে জামাল ভূঁইয়ারা। ফলে গেল ৮ বছরের মধ্যে সেরা র্যাঙ্কিং ১৮৩-তে বছর শেষের অপেক্ষায় বাংলাদেশ।
ফুটবলে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পরবর্তী ফেডারেশন নির্বাচনেও সভাপতি পদে ভোট করবেন কাজী সালাউদ্দিন। জাতীয় দলের ফল, ফুটবলারদের পারফরম্যান্স আর র্যাঙ্কিংয়ে ২০২৩ সালকে অন্যতম সফল বছর বলছেন ফেডারেশন সভাপতি।
ফুটবলের জন্য সাফল্যের বছর কাজী সালাউদ্দিনের কাছে। তাই আগামী বছর বিশ্বকাপ বাছাই ঘিরেও রয়েছে বড় পরিকল্পনা। সালাউদ্দিন বলেন, মাঠের লোক এখন টেলিভিশনে চলে যাচ্ছে। আমি মনে করি স্বাধীনতার আগে-পরে থেকে বর্তমানে সেরা পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ নারী দল দুটি ম্যাচ জিতেছে, তাও সিঙ্গাপুরের মতো দলকে বিধ্বস্ত করে। নতুন বছর নিয়েও পরিকল্পনা শুরু হয়েছে ফেডারেশনের, কিন্তু বাধার নাম অর্থ! বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচগুলোর আগে প্রীতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা আছে। আর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কারে ধীরগতি নিয়েও বিরক্ত ফেডারেশন সভাপতি।
আগামী বছর ফেডারেশন নির্বাচন, আবার সভাপতি পদে ভোট করার ঘোষণা দিয়ে রাখলেন কাজী সালাউদ্দিন। গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানান সাবেক এই তারকা ফুটবলার। তবে, মিথ্যাকে ঘৃণা করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে মেজর জেনারেল আমিন আহমেদকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। পরের দফায় অবশ্য লড়াই করতে হয়নি সাবেক এই তারকা ফুটবলারকে। ২০১২ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। চার বছর পর অবশ্য বাফুফে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে কামরুল আশরাফকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো বাফুফে প্রধান হন তিনি। আর শেষবার প্রতিদ্বন্দ্বী বাদল রায়কে হারিয়ে টানা চতুর্থবার দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থায় বসেন দেশের ফুটবলের এ কিংবদন্তি।