প্রকাশ: রোববার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১০:০৫ অপরাহ্ন
ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে দক্ষিণ আফ্রিকার নারীদের একবারই হারাতে পেরেছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাটিতে ২০১২ সালের সেই স্মরণীয় জয়ের পর ১১ বছর প্রোটিয়াদের আর হারাতে পারেনি লাল-সবুজ দল। এবার খুলল সেই গেরো। প্রতিপক্ষের মাঠেই জয় তুলে নিয়েছে টাইগ্রেসরা।
বেনোনির উইলোমুর পার্কে রোববার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩ রানে হারিয়েছে নিগার সুলতানার দল।
শুরুতে ব্যাট করে প্রতিপক্ষকে ১৫০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৩৬ রানে থেমেছে তাজমিন ব্রিটসের দল।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়েছে বাংলাদেশের। উদ্বোধনী জুটিতে সাত ওভারে ৪৪ রান তোলেন দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও মুরশিদা খাতুন। সপ্তম ওভারের শেষ বলে নন্দুমিসো শানগাসে শামিমাকে ফেরান। ২৪ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ২৪ রান করেন শামিমা।
ওয়ান ডাউনে নামা সোবহানা মোস্তারির সঙ্গে জুটিতে ৩৯ রান যোগ করেন মুরশিদা। ১৩তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৮৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় টাইগ্রেসরা। ১৭ বলে ৩ চারে ১৬ রান করেন মোস্তারি।
হাতে উইকেট থাকলেও প্রথম ১৩ ওভারে রানরেটটা আশানুরূপ ছিল না জ্যোতিদের। তবে ক্রিজে এসে দ্রুত রান তোলায় নজর দেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। ২১ বলে ৬ চারে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ওপেনিংয়ে নামা মুরশিদা পান ক্যারিয়ারের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি অর্ধশতকের দেখা। ৫৯ বলে ৬ চার ও ১ ছয় ৬২ রান করেন তিনি। শেষ ৭ ওভারে ৬৬ রান তোলে বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরাও উড়ন্ত সূচনা পায় দুই ওপেনারের ব্যাটে। ওপেনিং জুটিতে প্রোটিয়া অধিনায়ক তাজমিন ব্রিটস ও অ্যানিকে বখ পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে উইকেটশূন্য ৫০ রান তোলেন। বাংলাদেশি বোলারদের চাপের মুখে রেখে তাদের সেই জুটি টিকে দলীয় ৬৯ রান পর্যন্ত। ব্রিটসকে ব্যক্তিগত ৩০ রানে ফিরিয়ে টাইগ্রেসদের প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন রাবেয়া খান।
মাত্র তিন রানের ব্যবধানে সফরকারীদের আবারও আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন ফাহিমা খাতুন। তিন নম্বরে নামা অ্যানারি ডার্কসেনকে ব্যক্তিগত ১ রানেই বোল্ড করে দেন এই লেগ-স্পিনার। ৬৯ রানের আগপর্যন্ত উইকেট না হারানো প্রোটিয়ারা ৭২ রানে ২ উইকেট হারায়।
৩২ রানের জুটি গড়ে ইনিংস মেরামতের কাজ করেন সানে লুস এবং ডেলমি টাকার। ১৮ রান করা লুসকে ফেরান স্বর্ণা আক্তার। এরপর স্বাগতিকদের হয়ে আর কেউ প্রতিরোধই গড়তে পারেনি। টাকার ১০ বলে ১৫ রান করলেও অন্য প্রান্তে কেউ তাকে সঙ্গ দিওতে পারেননি।