প্রকাশ: শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১২:২০ অপরাহ্ন
সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আবারও হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
আইডিএফ-এর অভিযোগ, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টার (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা) আগে জিম্মি হস্তান্তরের তালিকা সরবরাহ না করে হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। সেই সঙ্গে তারা ইসরায়েল লক্ষ্য করে রকেটও নিক্ষেপ করেছে। ফলে আবারও গাজায় হামলা জোরদার করছে ইসরায়েলি বাহিনী।
উল্লেখ্য, টানা ৪৮ দিন যুদ্ধ শেষে গত ২৪ নভেম্বর থেকে চার দিনের সাময়কি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েল। এরপর প্রথম দফায় দুদিন বাড়ানোর হয় সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ। দ্বিতীয় দফায় আরও একদিনের জন্য সামিয়ক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হয়। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়।
দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে হামাস এই বিরতি অব্যাহত রাখার জন্য জিম্মি হস্তান্তরের তালিকা সরবরাহ করেনি বলে অভিযোগ ইসরায়েলের।
এর আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে হামাস ও গাজার অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ৮০ ইসরায়েলি এবং যুদ্ধবিরতি কাঠামোর বাইরে থাকা অন্যান্য জাতীয়তার আরও ২৮ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। আর ইসরায়েল থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৪০ জনে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীর যোদ্ধারা। এতে ইসরায়েলে এক হাজার দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়। ওই দিন ২৪০ জনের বেশি ইসরায়েলি ও বিভিন্ন দেশের নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর যোদ্ধারা।
গত ৭ অক্টোবর থেকেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এর মধ্যেই ২৮ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ ওই উপত্যকায় স্থল হামলাও শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইতোমধ্যে এই যুদ্ধে সেখানে ১৫ হাজার আট শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। সূত্র: আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েল।