প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩, ১২:২৬ অপরাহ্ন
আগামী বছরের নভেম্বরে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অথবা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প—যিনিই নির্বাচিত হন না কেন, শপথ নেওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন তিনি।
জো বাইডেনের কথা বলার সময় তোতলানো, ভুলে যাওয়া এবং জনসমক্ষে হোঁচট খাওয়ার মতো বিষয় নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পাশাপাশি তাঁর সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান রাজনীতিক ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভুলভাল নিয়েও সমালোচনা চলছে। বিশেষ করে তাঁদের বয়স নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেক মার্কিন ভোটার। সোমবার ৮১ বছর পূর্ণ হয়েছে জো বাইডেনের।
৭৭ বছর বয়সে প্রেসিডেন্ট হয়ে তিনিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বয়সে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার রেকর্ডের অধিকারী। আগামী বছর দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে নিজের রেকর্ডই ভাঙবেন। সেবার ক্ষমতা ছাড়ার সময় তাঁর বয়স হবে ৮৬ বছর। বিষয়টি নিয়ে মাঝে মাঝে রসিকতাও করেন বাইডেন।
তবে এটি মোটেই হালকা ব্যাপার নয় ভোটারদের কাছে। এক জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন ভোটারদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় প্রেসিডেন্টের বয়স। তুলনায় কিছুটা কম হলেও উদ্বেগ রয়েছে ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের বয়স নিয়েও। জনসমক্ষে উল্টাপাল্টা কথা বলার জন্য সুপরিচিত তিনি। এর সঙ্গে যে একেবারেই বয়সের সম্পর্ক নেই তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
এবিসি ও ওয়াশিংটন পোস্টের এক জরিপে দেখা গেছে, ৭৪ শতাংশ মার্কিন নাগরিক মনে করে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের জন্য বাইডেনের বয়স অনেক বেশি হবে। ট্রাম্পের ক্ষেত্রে এমনটা মনে করে তুলনায় বেশ কম—৫০ শতাংশ নাগরিক।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভুল কথাবার্তা নিয়েও কম সমালোচনা হয়নি। সম্প্রতি তিনি হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ভিক্টর অরবানকে তুরস্কের নেতা বলে সম্বোধন করেন।
সম্প্রতি ট্রাম্প বলে বসেন, তিনি ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন নয়, বারাক ওবামাকে পরাজিত করেছেন। ট্রাম্পের এসব ভুল ভোটারদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে রিপাবলিকান দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী রন ডিস্যান্টিসের প্রচারাভিযান দল। গত রবিবার রন ডিস্যান্টিস সিএনএনকে বলেন, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ৮০ বছর বয়সী ব্যক্তির জন্য নয়। সূত্র : এএফপি