ভোলায় এক সময়ের দ্রুত যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম টেলিফোনের ওপর প্রতিদিনই আগ্রহ কমে যাচ্ছে গ্রাহকের। ফলে দিন দিন জেলার সাত উপজেলায় গ্রাহক সংখ্যা কমে যাচ্ছে টেলিফোনের।
এর মধ্যে এক উপজেলায় কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ থাকায় নেই গ্রাহক। তবে ভোলায় টেলিফোনের গ্রাহক বাড়াতে নতুন নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সার্ভিস ও দ্রুতগতির ইন্টারনেন্ট নিয়ে গ্রাহককে সেবা দেবে এটি।
অন্যদিকে জনবল সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে অফিসের কার্যক্রম। ভোলা টেলিযোগাযোগ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোলার সাত উপজেলায় বর্তমানে টেলিফোন গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ১০০।
এর মধ্যে সদর উপজেলায়ই রয়েছে প্রায় ৭৫০টি। এছাড়া ভোলার বিচ্ছিন্ন উপজেলা মনপুরায় টাওয়ার থাকলেও বন্ধ রয়েছে রেডিও লিংকটি। যে কারণে গ্রাহকদের চাহিদা থাকলেও টেলিফোন ব্যবহার করতে পারছেন না।
ফলে গ্রাহক সংখ্যা কম থাকায় তেমন কাজের চাপও নেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। অন্যদিকে ভোলা উপ-বিভাগীয় কার্যালয়ে তিনজন কর্মকর্তার পদ থাকলেও কর্মরত মাত্র একজন।
এছাড়াও পুরো জেলায় মাত্র ১৪ জন কর্মচারী নিয়ে চলছে কার্যক্রম। এর মধ্যে উপ-বিভাগীয় কার্যালয়ে আটজন, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় একজন করে মাত্র ছয়জন করে কর্মচারী নিয়ে চলছে অফিস।
জনবল সংকটে টেলিফোন অফিসগুলো-ছবি জাগো নিউজ ভোলা টেলিযোগাযোগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কামরুল হক জানান, মোবাইল ব্যবহারের ফলে টেলিফোন গ্রাহক সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
ভোলায় টেলিফোন ব্যবহারে গ্রাহকদের আগ্রহ বাড়াতে আগের যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করে নতুন আধুনিক যন্ত্রাংশ স্থাপন করা হয়েছে। ভোলায় অপটিক্যাল ফাইভার বেজ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সিস্টেম ফাইভারের মাধ্যমে ফোন ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা গ্রাহকদের দেওয়া হবে। ফলে গ্রাহক সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বাড়বে।
এরই মধ্যে সার্ভে সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন শুধু কাজ শুরুর অপেক্ষা। তিনি আরও জানান, বর্তমানে জেলার সবগুলো অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকট রয়েছে। অনেক কর্মচারীর বয়স বেশি হওয়ায় তারা নতুন সিস্টেমে কাজ করতে পারা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
তবে নতুন সিস্টেম চালু হলে নতুন নতুন কর্মচারী নিয়োগ করা দরকার। এছাড়া মনপুরা অফিসের টেলিফোন সেবা সাময়িক বন্ধ। আমরা নতুন প্রজেক্টে নতুন এন্টেনার মাধ্যমে তজুমদ্দিন উপজেলা থেকে টেলিযোগাযোগ সচল করবো।
এদিকে ভোলার সচেতন নাগরিক মো. হেলাল উদ্দিন, আরিফ উদ্দিন লিটন, তানহা তালুকদার বাঁধন, আবু তাহের ও মো. হারুনুর রশিদ শিমূল জানান, এক সময় সারাদেশের সাথে দ্রুত যোগাযোগের জন্য একমাত্র মাধ্যম ছিল টেলিফোন।
কিন্তু মোবাইল ফোন আসার ফলে টেলিফোনের গ্রাহক কমে গেছে। আগে ভোলা শহরের প্রায় প্রতি ঘরে টেলিফোন সংযোগ থাকলেও বর্তমানে নেই। তবে টেলিফোনের সেবা আধুনিকতা ও টেলিফোনের সাথে দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ চালু হলেও আবারও গ্রাহক সংখ্যা বাড়বে।
তারা আরও জানান, যেহেতু বর্তমানে টেলিফোন টু টেলিফোন কলচার্জ ফ্রি। এছাড়া টেলিফোন টু মোবাইল কলচার্জ মাত্র ৫২ পয়সা। এজন্য টেলিফোনের সাথে দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ দ্রুত চালু হলে বাড়িতে সবাই টেলিফোন সংযোগ নেবেন। কারণ ইন্টারনেট ও টেলিফোনে কথা বলার জন্য।