প্রকাশ: সোমবার, ১১ জুলাই, ২০২২, ৭:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: সোমবার, ১১ জুলাই, ২০২২, ৭:৫৩ অপরাহ্ন
বিশ্বে যেভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, এভাবে বাড়তে থাকলে আগামী ১৫ নভেম্বর বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮০০ কোটির মাইলফলক পেরিয়ে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘ। আর আগামী বছর ভারতের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশের অবস্থান হারাবে চীন। এমন অবস্থায় জলবায়ু সংকটও প্রকট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স আজ সোমবার বৈশ্বিক জনসংখ্যা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস ২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ সোমবার বলেছে, যেখানে বিশ্বের জনসংখ্যা এক বিলিয়নে পৌঁছাতে কয়েক হাজার বছর লেগেছে সেখানে সাতগুণ বাড়তে মাত্র ২০০ বছর লেগেছে
এমনকি ২০১১ সালেও বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল ৭০০ কোটি। গত ১১ বছরে তা আরও ১০০ কোটি বেড়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বর বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮০০ কোটির মাইলফলক ছুঁয়ে যাবে।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১৯৫০ সালের পর থেকে বিশ্বের জনসংখ্যা সবচেয়ে ধীর গতিতে বাড়ছে। তবে আগে দ্রুত বৃদ্ধির প্রভাব আগামীতে পড়বে বলে বলছে তারা।
জাতিসংঘ আরও বলছে, ‘নাটকীয়ভাবে জনসংখ্যার এই বৃদ্ধি প্রজনন হারে বড় পরিবর্তন, নগরায়ন বৃদ্ধি এবং অভিবাসন প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলছে। এবং আগামী প্রজন্মের ওপরও এটি একটি বড় প্রভাব ফেলবে।’
প্রতিবেদনে ২০৩০ সালে বিশ্ব জনসংখ্যা ৮.৫ বিলিয়ন এবং ২০৫০ সালে ৯.৭ বিলিয়ন পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ২১০০ সালে এই বৃদ্ধি স্থিতিশীল হলেও ২০৮০ এর দশকে প্রায় ১০.৪ বিলিয়ন জনসংখ্যার শীর্ষে পৌঁছাবে।
জাতিসংঘ বলেছে, জনসংখ্যার বৃদ্ধি স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রগতির পাশাপাশি বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সমস্যা মোকাবেলার কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার উপরও জোর দেয়।
‘এই অগ্রগতি সর্বজনীন নয়। তবে এর কারণে বছর আগে সৃষ্টি হওয়া একই উদ্বেগ এবং চ্যালেঞ্জগুলো রয়ে গেছে যা জলবায়ু পরিবর্তন, সহিংসতা, বৈষম্যের জন্যও দায়ী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দশকে বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পূর্বাভাসের অর্ধেকেরও বেশি শুধু আটটি দেশ কেন্দ্রিক হবে। দেশগুলো হলো, কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং তানজানিয়া গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র।