আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে মর্মান্তিক গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনাকারী বিএনপি। তারা এ দেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঐতিহ্য সৃষ্টি করেছে এবং নিয়মিত চর্চা করে যাচ্ছে। তাদের মুখে সুশাসনের কথা মানায় না। এসব কথা বলার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন।’
আজ সোমবার নিজ বাসভবনে ব্রিফিংয়ে পবিত্র ঈদের দিনে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে কাদের এসব কথা বলেন। দেশের মানুষ যখন আনন্দমুখর পরিবেশে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন, তখন বিএনপির মিথ্যাচার আর বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্য দেশবাসীকে হতাশ করেছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
পবিত্র ঈদের দিনে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বিএনপি নেতারা ঘৃণ্য এবং পরশ্রীকাতর রাজনীতির পরিচয় স্পষ্ট করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যে মানুষের আনন্দ-বেদনার সঙ্গে একাত্ম হতে পারে না, তার প্রমাণ পবিত্র ঈদের দিনে তাদের মিথ্যাচার এবং বিষোদগার।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের এসব অপলাপ ক্ষমতার প্রতি তীব্র হাহাকারের দীর্ঘশ্বাস।’
বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সুশাসনের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে দায়িত্বশীল বিরোধী দল। যারা দিনরাত সরকারের বিরোধিতাকে রাজনীতির লক্ষ্য করে নিয়েছে, তারা সুশাসন নিশ্চিত করতে এ পর্যন্ত কী করেছে? বিএনপি গণতন্ত্রের প্রকাশ্য শত্রু, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারক ও উসকানিদাতা, মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের প্রশ্রয়দাতা এবং ধর্মান্ধগোষ্ঠীরও উসকানিদাতা।
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই হচ্ছে দুঃশাসনের প্রতিভূ, গণতন্ত্র বিনাশী এক রাজনৈতিক অপশক্তি। আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ’ বিএনপির সময়কালে লোক দেখানো তথাকথিত সুশাসন মানে জনগণের কণ্ঠরোধ, ভোটারবিহীন নির্বাচন, ভোটাধিকার হরণ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের সুশাসন মানে বিদ্যুৎহীন খাম্বা, সার আর বিদ্যুতের জন্য মানুষ হত্যা, বিদেশে অর্থপাচার, সংখ্যালঘু নির্যাতন।’
বিদ্যুৎ খাতের ইনডেমনিটির কথা বলার আগে বিএনপি কী ভুলে গেছে, তারাই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষার জন্য ইনডেমনিটি দিয়েছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অপারেশন ক্লিন হার্টের সময় বেগম খালেদা জিয়াও ইনডেমনিটি দিয়েছিলেন।’