
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার দলই সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ঠেলে পাঠানো (পুশ ইন) ১৫ বাংলাদেশিকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
গতকাল শুক্রবার (৯ মে) সকালে বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের কমলগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে গত বুধবার (৭ মে) ভোরে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাদের দলই সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ ইন করে। সীমান্ত অতিক্রমের পরপরই বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করেন এবং স্থানীয় সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে দুই দিন আটকে রাখেন।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটককৃত ব্যক্তিরা কয়েক বছর ধরে ভারতের আসামে বসবাস করছিলেন। তারা জানান, ভারতের পুলিশ তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়ে জেলে পাঠায়। পরে বিএসএফের হাতে তুলে দিয়ে সীমান্ত এলাকায় এনে পুশ ইন করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
আটককৃতদের মধ্যে ১০ জন নড়াইল জেলার, ৩ জন খুলনা জেলার এবং ২ জন বাগেরহাট জেলার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। আটক ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানা গেছে।
তারা হলেন- নড়াইল জেলার: সুমন শেখ (৩৪), হাবিবুর (৪০), রাজিব শেখ (২৭), তার স্ত্রী সারমিন বেগম (২২), সন্তান জুবায়ের শেখ (৪) ও ইয়াসিন শেখ (২), রফিকুল মোল্লা (৫৮), আবদুল সাত্তার মোল্লা (২৪), তুসার আলি মীর (২৮)। খুলনা জেলার; তরিকুল শেখ (২৪), তার স্ত্রী শান্তা শেখ (২৪), ছেলে মোহাম্মদ শেখ (৪), মেয়ে সুমাইয়া শেখ (৮)। বাগেরহাট জেলার; হারিনা শেখ (৩০) ও তার ছেলে আবু হুরায়রা (৭)।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, “সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশ ইন করে পাঠানো ১৫ জনকে বিজিবি আমাদের থানায় হস্তান্তর করেছে। এখন তাদের বিষয়ে আইনগতভাবে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী ঠিক করা হবে।”
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, কোনো নাগরিককে ফেরত পাঠাতে হলে কূটনৈতিক বা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। পুশ ইন প্রক্রিয়ায় সেই নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।