প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:০২ অপরাহ্ন

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পাড়াগ্রামের বৃদ্ধা মোঃ আব্দুল হালিম মোল্যা আজ ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন।
এর আগে গত রোববার (১৩এপ্রিল) সকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পাড়াগ্রামের মাহবুবের মেহগোনী গাছের বাগান থেকে তাকে জিহ্বা কাটা ও গুরুত্ব জখম অবস্থায় উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবিদ হাসান জবাবদিহিকে জানান, হাসপাতালে আনার পর অবস্থার অবনতি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ধারের টাকা আদায়ের কথা বলে শনিবার বিকেলে উপজেলার পাড়াগ্রামের মিজানুর রহমান, শান্ত, লালটু, মজিবর ও হেলেঞ্চা গ্রামের আনোয়ারের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি থেকে বের হন আব্দুল হালিম সে আর দিন বাড়ীতে ফিরে আসেননী। পরে রাত আনুমানিক তিনটার দিকে দুর্বৃত্তরা তাকে ধরে জিহ্বা কেটে মাহবুবের বাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে একই গ্রামের মফিজউদ্দিনের ছেলে নুরু মিয়া কৃষি কাজের উদ্দশ্যে বাড়ী থেকে মাঠে যাওয়ার সময় তার দৃষ্টিতে পড়ে, আহত অবস্থায় পড়ে থাকা দেখে ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আব্দুল হালিম মোল্লা উপজেলার ইউসুফেরবাগ বাজারের নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ওই এলাকার মৃত আবু সাঈদ মোল্লার ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্লা জবাবদিহিকে বলেন, এটি একটি নির্মম ঘটনা। বৃদ্ধের জিহ্বা কেটে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দুই দিন পর তিনি মঙ্গলবার সকালের দিকে মারা যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ জবাবদিহিকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অর্থ লেনদেনের জের ধরে এমন ঘটনা ঘটেছে। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।