
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সংবাদ প্রকাশের জেরে লালন সরকার নামে এক সাংবাদিকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি ও মানহানি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাংবাদিক লালন সরকার দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি।
আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে এগারোটায় পৌর সদরের বিজয় চত্বর সংলগ্ন এশিয়ান মহাসড়কে উপজেলার সর্বস্তরের জনগনের অংশগ্রহণে এই মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল পঞ্চগড় আদালতে সাংবাদিক লালনকে প্রধান আসামী করে সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান একটি চাঁদাবাজির মামলা এবং উপচৌকন ভাজনী এলাকার এক নারী মানহানিকর ভিডিও ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশের অভিযোগে একটি মানহানি মামলা রজ্জু করেন।
মানববন্ধনে সাংবাদিক লালন বলেন, ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে উপনচৌকি ভাজনী আশ্রয়নের ঘর ও জমি বিক্রির অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ করায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে ফাঁসানোর জন্য এই দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় যে ঘটনার বর্ননা দিয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তা প্রায় ২ মাস আগের ঘটনা। এছাড়াও একই নারীর ভিডিও একাধিক ব্যক্তি ফেসবুকে পোস্ট করলেও মামলা হয়েছে শুধু আমার বিরুদ্ধে।
মামলার অপর আসামী শাকিল ইসলাম বলেন, মেম্বারের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে এলাকার সরব থাকি বলে আমাকে দুই মামলায় আসামী করা হয়েছে।
মানববন্ধনে মামলার স্বাক্ষী ইউসুফ আলী বলেন, ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তাকে যে স্বাক্ষী করা হয়েছে সে সম্পর্কেও তিনি অবগত নন।
ইউপি সদস্যের মামলার স্বাক্ষী হেলাল বলেন, ঘটনার কিছু আমার জানা নেই। মামলার বিষয়টি শোনার পর এই বিষয়ে আমি মেম্বারকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে কেন আমাকে স্বাক্ষী করা হলো।
উভয় মামলার প্রথম স্বাক্ষী কদম জানান, উভয় মামলার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। মামলা হওয়ার পর তিনি জানতে পারেন যে তাকে স্বাক্ষী করা হয়েছে।
এই বিষয়ে ইউপি সদস্য নুরজামান বলেন, লালন সাংবাদিক আমার কাছে চাঁদা চেয়েছে এটা সত্য। মানব বন্ধনে যারা বক্তব্য দিয়েছেন তারা আসামির বাবা, মা, ভাই।
মামলার সাক্ষী বাদীর বিপক্ষে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি (ইউসুফ) সবার আগে ফেসবুকে লালনের ভিডিও আমাকে দেখিয়েছিলেন। সেজন্য তাকে সাক্ষী করেছি। তবে সাক্ষী হিসেবে নাম দেওয়ার আগে তাকে বলিনি।