প্রকাশ: শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪, ৫:৫৩ অপরাহ্ন
অনেক সময় শিশুরা হঠাৎ করে খুব জেদী এবং একগুঁয়ে প্রকৃতির হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ২ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের বুঝানো কঠিন হয়ে পড়ে। এই অভ্যাস পরিবর্তনের চেষ্টা করা না হলে শিশুর সব কিছুতেই জেদ করার অভ্যাস গড়ে ওঠে। সন্তানের ইচ্ছা পূরণ না হলে সে খুব রেগে যায়, কান্নাকাটি করে এবং বাবা-মাকে কষ্ট দেয়। অনেক সময় বাবা-মাও সন্তানের এমন আচরণের কারণ হয়ে থাকেন। এ ধরনের শিশুদের অনেক ধরনের আচরণগত সমস্যাও দেখা দিতে থাকে, যা সময়মতো নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
বাচ্চাদের রাগ যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন-
*সন্তান যখন কোনো বিষয় নিয়ে জেদ করবে তখনই তাকে অন্য কোনও বিষয়ে, গল্প বা পরিকল্পনায় জড়ান। তবে, শিশুর জন্য এর মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ কিছু থাকা উচিত।
*শিশু যখন জেদ করে তখন তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তার মনস্তত্ত্ব বোঝার চেষ্টা করুন। একটি শিশুর জেদ একদিনে কাটিয়ে ওঠা যায় না। এর জন্য শিশুকে ক্রমাগত বুঝিয়ে বলতে হবে। তাকে বলুন একগুঁয়ে থাকা ভালো অভ্যাস নয়। তবে, শিশুর সব কিছুকে না বলা ঠিক নয়।
*বাবা-মায়েরা সময় না দিলে শিশুদের মধ্যে জেদ বা আচরণ সংক্রান্ত সমস্যা বেশি দেখা দেয়। অনেক সময় একা থাকা শিশুরা বেশি জেদি হয়ে যায়। তাই শিশুদের জন্য বড় হওয়া জরুরি। আপনি যদি কাজ করেন, তবে আপনি যখন বাড়িতে পৌঁছান, আপনার সন্তানদের যতটা সম্ভব সময় দিন। একা বা কাজের মেয়ের সঙ্গে থাকা শিশুরা বেশি জেদি হয়ে ওঠে।
*নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করুন। সন্তানের আচরণ ভালো রাখতে হলে সবার আগে অভিভাবকদের সন্তানদের প্রতি ভালো ব্যবহার বজায় রাখতে হবে। শিশুরা ঘরে থাকা পরিবেশ থেকে শেখে। তাই শিশুদের সামনে উচ্চস্বরে কথা বলবেন না, চিৎকার করবেন না বা মারামারি করবেন না।
*আজকাল একা সন্তান হওয়ায় বাবা-মায়েরা সন্তানের প্রতিটি চাওয়া পূরণ করেন। এটা করা অনেক সময় বাচ্চাদের জেদি করে তোলে। অনেক সময় শিশু এমন কিছুর জন্য জেদ করে যা আপনি সঠিক মনে করেন না বলে তা পূরণ করেন না। তখন শিশু খুব রাগী ও খিটখিটে হয়ে যায়। এ কারণে শিশুর প্রতিটি অনুরোধ বা জেদ পূরণ না করা গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের অর্থের গুরুত্ব বলুন এবং নৈতিক মূল্যবোধ শেখান।