কোটা সংস্কার আন্দোলনে মাদারীপুর শহরেও ব্যপক নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি, যানবাহন ও ফিলিং স্টেশন। ভাঙচুর করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়। হামলার হাত থেকে রক্ষা পায়নি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ও।
জড়িতদের অবিলম্বে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
জেলা শহরের খাগদি এলাকায় নাশকতাকারীরা পুড়িয়ে দিয়েছে সার্বিক পরিবহনের ডিপোতে পার্ক করে রাখা ৩৮টি বাস।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরজুড়ে বেরিয়ে আসছে একের পর এক ধ্বংসযজ্ঞ। পুড়ে গেছে একাধিক বিলাসবহুল বাস। ১৯ জুলাই মাদারীপুরের খাগদি এলাকায় পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে সার্বিক পরিবহনের ডিপোতে পার্ক করে রাখা ৩৮টি বাস। ভাঙচুর করা হয় আরও ৬টি যানবাহন।
একই সময়ে সার্বিক ফিলিং স্টেশনে ভাঙচুর করা হয় জ্বালানি সরবরাহকারী মেশিন।কাউন্টারে হামলা চালিয়ে করা হয় লুটপাট।
সার্বিক পরিবহনের ম্যানেজার গোপাল হালদার বলেন, ‘আমাদের বাস স্টেশনে ৪৪ টির মতো বাস ছিল, যার মধ্যে ৩৮টি পোড়ানো হয়েছে, আর বাকিগুলো করা হয়েছে ভাঙচুর।
সার্বিক ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার শাহীন হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের ফিলিং স্টেশনের ক্যাশ ভল্টে প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো ছিল; সেগুলো নিয়ে গেছে এবং স্টেশনটি ভাঙচুর করা হয়েছে।’
এদিকে, পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমিউনিটি সেন্টারেও চালানো হয় ধ্বংসলীলা। কঙ্কাল হয়ে আছে অডিটোরিয়ামের চেয়ার টেবিল। জড়িতদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি পৌর কর্তৃপক্ষের।
মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন দেখে দুর্বৃত্তরা হিংসাত্মক হয়ে এ ভাঙচুর ও জ্বালাও-পোড়াও চালিয়েছে।পৌর বাস টার্মিনালও ভাংচুর করা হয়েছে।’
হামলার হাত থেকে রক্ষা পায়নি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ও।অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারা দেশে যে ধ্বংস চালানো হয়েছে, তা থেকে বাদ যায়নি মাদারীপুরও।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা বলেন, ‘যারা ধ্বংস চালিয়েছে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে গ্রেফতার অভিযানও শুরু হয়েছে।’
পুরান বাজার এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়েও ভাঙচুর চালিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় এক নম্বর পুলিশ ফাঁড়িও। তাদের রোষানল থেকে রেহাই পায়নি মস্তফাপুরে পার্ক করা প্রাইভেট কারও।