প্রকাশ: শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৭:৪৭ অপরাহ্ন
মাদারীপুরের কালকিনিতে নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এসকান্দার খা (৬৫) নামে এক ঈগলের কর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত এসকান্দার মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা সিদ্দিকীর কর্মী ও উপজেলার লক্ষিপুর এলাকার ভাটাবালী গ্রামের আয়ুব আলী খার ছেলে। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী এসকান্দার খা শনিবার ফজরের নামাজ শেষে বাড়ির দিকে রওনা দেন। পথিমধ্যে নৌকার প্রার্থীর কিছু সমর্থকরা এসে এসকান্দারকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি পেটা দিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কিন্তু সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এসকান্দার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার এ মৃত্যুর খবরে মাদারীপুর-৩ নির্বাচনী পুরো এলাকা জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
নিহত এসকেন্দার আলী খার ছেলে মিলন খা বলেন, আমার বাবাকে নৌকার লোকজনে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই। আমার বাবা তাহমিনা সিদ্দিকীর ঈগল মার্কার সমর্থক ছিল।
আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী লক্ষিপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল বেপারী বলেন, এসকান্দার মারা গেছে তার পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে। কোন রাজনৈতিক কারণে নয়। বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য কুচক্রী মহল উঠে পড়ে লেগেছে আমাদের বিরুদ্ধে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা সিদ্দিকীর নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সদস্য ও কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকালে ঈগল মার্কার শান্তিপূর্ণ মিছিলে বোমা হামলা করে ১০ জনকে আহত করেন নৌকার সমর্থকরা। ওই ঘটনায় প্রশাসন কঠিন ব্যস্ততা নিলে আজ পুনরায় ঈগলের সমর্থক এসকান্দার খানকে এভাবে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা মতো ঘটনা ঘটতো না।
তবে এ বিষয় নৌকা মার্কার প্রার্থী ড.আবদুস সোবহান গোলাপের মুঠোফোনে ফোন দিলে রিসিভ না করায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কালকিনি থানার ওসি (তদন্ত) মারগুর তৌহিদ বলেন, খবর পেয়েছি বরিশাল হাসপাতালে বসে মারা গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ দিলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।