প্রকাশ: শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৭:০৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৭:০৮ অপরাহ্ন
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে খোদ প্রার্থীরাই আচরণবিধি মানছেন না বলে অভিযোগ আনলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। একইসঙ্গে তিনি এ বিষয়ে সতর্ক করে অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিদ্বন্দিতা প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিশেষ আইনশৃংখলা সভা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইসি আনিছুর বলেন, ‘আমি দুই মিনিটের পথ হেঁটে এখানে (জেলা প্রশাসক কার্যালয়) এসেছি। তখন দেখলাম যেসব প্রার্থী এসেছেন তাদের কারো গাড়িতে আঠা দিয়ে পোস্টার লাগানো। কিন্তু এটা আপনারা করতে পারেন না।’
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি সরকার দলীয় প্রার্থীদেরকে বেশি সহনশীল হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। এ সময় একাধিক প্রার্থী তাদের কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন। ভোটের মাঠে কালো টাকা উড়ছে বলেও অভিযোগ করা হয়। সরকার দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে এমপিরা সরকারি সুবিধা নিয়ে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠলে ইসি এ বিষয়ে ব্যাখা দেন এবং নিয়ম অনুযায়ি কে কতটুকু সুবিধা পাবেন সেটা উল্লেখ করেন।
পরে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালেও বিষয়টি উঠলে ইসি আনিছুর রহামন জানান, এখন থেকে আর আগের মতো প্রটোকলের বিষয়টি দেখা যাবে না। কিভাবে কি করতে হবে বলে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নীচে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ইসি। মত বিনিময় সভায় কয়েকজন প্রার্থী, তাদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছাড়াও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, বিজিবির ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লে. কর্ণেল আশিক হাসান উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ইসি তার বক্তব্যে প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়গুলোও আমলে নিয়ে কথা বলেন।
মতবিনিময়কালে ইসি আনিছুর রহমান আরো বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো ব্যতয় হবে না। ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে, কে কোন পদের সেটা বড় কথা না। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হতে।’
সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ডানে বামে তাকানোর সময় আপনাদের নাই। কে কোন দলের সেটা আপনারা ভাববেন না। প্রিসাইডিং অফিসারকে সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তিনি ইচ্ছার করলে ভোটগ্রহন বন্ধ করে দিতে পারবেন। আর ওই কেন্দ্রে আবার ভোট হলে তখন আরো বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’
তিনি জানান, ভোট প্রতিহত করার ঘোষণার বিষয়টি একেবারে ফেলে দেওয়া হবে না। ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের কথা যারা মাথায় নিয়ে রেখেছেন সেটা মাথা থেকে ফেলে দেওয়ার জন্য বলেন তিনি। ভোটের আগে পরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেন তিনি।