প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৮:১৭ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী গত সেপ্টেম্বর শেষে এসব ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৫শ ৮ কোটি টাকা।
রেকর্ড পরিমাণ মূলধন ঘাটতিতে পরেছে দেশের ১৪টি ব্যাংক। এ তালিকায় আছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৬টি, বেসরকারি ৬ এবং বিদেশি ২ টি ব্যাংক রয়েছে। মূলত ব্যাংকগুলোয় অনিয়মের কারণে সংকটময় আর্থিক পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।
মূলধন ঘাটতিতে পড়া ব্যাংকগুলো হলো অগ্রণী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।
এর মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ৩১ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা। যার মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকেরই ঘাটতি ১৫ হাজার ৮শ ৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে অগ্রণী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ২৮ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৮২৮ কোটি টাকা এবং বেসিক ও জনতা ব্যাংকের ঘাটতি বেড়েছে যথাক্রমে তিন হাজার ১৫০ কোটি টাকা ও তিন হাজার ২৯ কোটি টাকা। একই সময়ে রূপালী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ছিল দুই হাজার ১২১ কোটি টাকা ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ঘাটতি ছিল দুই হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।
আর বেসরকারি ছয় ব্যাংক ৬ হাজার ২৩ কোটি টাকা মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে। এ খাতের ন্যাশনাল ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৪ কোটি টাকা।
এর মধ্যে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ছিল ৭০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। গত জুনে এটি ছিল ৮৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সিটিজেন ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ছিল ৯৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এটি তিন মাস আগে ছিল ৯৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।
উভয় ব্যাংকই ঘাটতির জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকার পরিবর্তে ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণকে দায়ী করেছে। এছাড়া হাবিব ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঘাটতি ছিল যথাক্রমে ৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ও ৪৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।