প্রকাশ: শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
মুসলিম সমাজে খতিব সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী। খতিবের প্রতি নানাভাবে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। যেমন খতিব আলোচনা করতে মিম্বারে আরোহণ করার পর তাঁর দিকে ফিরে বসা এবং মনোযোগসহ আলোচনা শোনা। একাধিক সাহাবি থেকে বর্ণিত, তাঁরা বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন মিম্বারে আরোহণ করতেন আমরা তাঁর দিকে মুখ করে বসতাম।
(সহিহ ইবনে হিব্বান : ৭/৫১৮)
উল্লিখিত হাদিসের আলোকে বেশির ভাগ ফকিহ (আইনবিদ) আলেম বলেছেন, খতিব যখন খুতবা দেন তখন তাঁর দিকে ফিরে বসা মুস্তাহাব। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আনসারি (রহ.) বলেন, সুন্নত হলো জুমার দিন যখন ইমাম মিম্বারে আরোহণ করেন, তখন শ্রোতারা সবাই তাঁর দিকে মুখ ফিরিয়ে বসবে। (সিলসিলাতুল আহাদিস, পৃষ্ঠা ১১৫)
খতিবের প্রতি সম্মান ও মনোযোগ প্রদানের আরেকটি মাধ্যম হলো বয়ানের সময় তাঁর কাছাকাছি স্থানে বসা। যেন খতিবকে ভালোভাবে দেখা যায় এবং সুন্দরভাবে আলোচনা শোনা সম্ভব হয়। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, নবী (সা.) একদা মিম্বারের ওপর বসলেন এবং আমরা তাঁর চারদিকে (মুখ করে) বসলাম। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৯২১)
আলোচ্য হাদিসের আলোকে হাফেজ ইবনে হাজার আস্কালানি (রহ.) উল্লিখিত হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, ইমামের দিকে মুখ করে বসার রহস্য হলো, এর মাধ্যমে মুসল্লি নিজেকে আলোচনা শুনতে প্রস্তুত করে এবং এটা কথা শোনার শিষ্টাচারও বটে। যখন শ্রোতা খতিবের দিকে মুখ ফেরায়, তখন তার অন্তরও সেদিকে ফিরে যায় এবং তার মনও উপস্থিত হয়। এতে সে কথার মর্ম বুঝতে সক্ষম হয়। (ফাতহুল বারি : ২/৪০২)
জুমার খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা খুবই ফজিলতপূর্ণ আমল। আউস বিন আউস সাকাফি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন ভালো করে গোসল করল, দ্রুততর সময়ে মসজিদে গেল ও (ইমামের) কাছাকাছি বসে মনোযোগসহ (খুতবা) শুনল, তাঁর জন্য প্রতি কদমের বদলে এক বছরের রোজা ও নামাজের সওয়াব থাকবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৫)