মহাজোটের সঙ্গে সমঝোতা হলে কিছু আসন ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো ধানমন্ডি কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তদের চিঠি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলে কারা কারা মনোনয়নপত্র চায় সেটি পরিষ্কার করতে হবে তাদের। ১৪ দল পরিচয়ে কাউকে মনোনয়নপত্র দেয়া যাবে না। যারা বিজয়ী হতে পারেন তাদের মনোনয়ন দেয়া হবে। এখনও মনোনয়নপত্র নেয়ার সময় আছে।
তিনি আরও বলেন, কোনো আচরণবিধি যেন কেউ লঙ্ঘন না করেন-সে বিষয়ে প্রার্থীদের সতর্ক বার্তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিবে নৌকা, তবে সমঝোতা হলে কিছু আসনে ছাড় দিবে দল-এ কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী মাসের ১৭ তারিখের পর সবকিছু সিদ্ধান্ত হবে। পরিবর্তন সংযোজন হবে আরও।
তিনি বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার কৌশল নেই আওয়ামী লীগের। তবে তাদের দলের কেউ কেউ নির্বাচনে আসবেন। অবাধ নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।
সব শেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীক ও মিত্রদের জন্য ৩৯টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ।
এদিকে চলতি মাসের ১৫ তারিখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। গত ১ নভেম্বর থেকে এবারের নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। সে অনুসারে ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।