প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩, ৪:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩, ৪:৫৭ অপরাহ্ন
শেরপুর জেলার বিলাঞ্চলে হালকা শীতেই ছুটে আসতে শুরু করেছে নানা প্রজাতির দেশীয়পাখীসহ অতিথি পাখি। শীতের শুরুতেই খাবারের সন্ধানে পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠছে বিলাঞ্চল। সৌখিন ও পেশাদার শিকারিরাও বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে দেশী ও অতিথি পাখিগুলো শিকারের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। অবশ্য প্রশসনের শক্ত নজরদারির কারণে পাখি শিকার বন্ধ রয়েছে।
জানা যায়, শেরপুর জেলা (উত্তর) ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার বিলাঞ্চল খাল, নালা ও জলাশয়গুলোতে কমছে পানি। মিলছে ছোট বড় মাছ। বিলের আমন ধানও পাকতে শুরু করেছে। তাই মাছ ও ধান খাবার লোভেই মূলত নানা প্রজাতির পরিযায়ী ও দেশীয় প্রজাতির পাখি আসছে এই গারো পাহাড়ি বিলাঅঞ্চলে।
ঝিনাইগাতীর কৃষক শতবর্ষী ডাঃ আব্দুল বারী, আলহাজ, শাহজাহান আকন্দ ও আলহাজ, সরোয়ার্দী (দুদু হাজী) দৈনিক জবাবদিহিকে জানান, ফসলের জমিতে পানি দেয়ার সময় মাটির নিচে থেকে উঠে আসা পোকামাকড় খেতে সাদা বক, কানিবক, শালিক, চড়ুাই, ডাহুকসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি অভ্যস্ত।
ঝিনাইগাতী উপজেলার ধলী ও নয়া বিলের পাশের গ্রাম সাড়ি কালিনগর গ্রাামের বাসিন্দা আলহাজ, শরীফ উদ্দিন সরকার জানান, রাতচোড়া, বালিহাঁস, পানকৈড়,পারিজাতসহ দেশীয় প্রজাতির পাখি আসতে শুরু করেছে ধলি ও নয়া বিলে। তৃণমূল পর্যায়ে জনসচেতনতার বৃদ্ধি ও সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়ের জন্যই মূলত এ অঞ্চলে স্থায়ীভাবে পাখি শিকার বন্ধ রয়েছে। খাদ্য ও নিরাপত্তার জন্য পরিযায়ী ও দেশীয় পাখিগুলো প্রতি বছরই আসে। এসব পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে পরিবেশকে রক্ষা করে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুঁইয়া দৈনিক জবাবদিহিকে বলেন, পাখি শিকার জীববৈচিত্র্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই কেউ যদি পাখি শিকার করে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসন অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে পর্যবেক্ষণ করছে। অপরাধিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।
ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তাগণ বলেছেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী, পাখি বা পরিযায়ী পাখি হত্যা অপরাধ। এ অপরাধে কারাদন্ড-ও অর্থদন্ড হতে পারে। পাখি শিকারের তথ্য পেলে অভিযান পরিচালনা করে পাখি শিকার বন্ধ করা হবে।