প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা কবির বিন আনোয়ার বলেছেন, আ.লীগের বিরোধী পক্ষের জরীপেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭০ শতাংশের বেশি জনপ্রিয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে স্মার্ট কর্নার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, বিএনপি নেতারা তাদের মহাসমাবেশকে ঘিরে বলেন, এমন একটি সরকারকে ফুঁতকারে উড়িয়ে দিবেন। তাদের নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতেই এসব বলেন, ফাঁকা আওয়াজ দেন। আমরা মাঠেই আছি। তাই তাদের সমাবেশ ঘিরে আলাদাভাবে প্রস্তুতির কিছু দেখিনা।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি রাজনৈতিকভাবে বিএনপি কোন দলই নয়। যারা এদেশের স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে, যারা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাই না, পাকিস্তান আমলের ধর্মান্ধতা চাই, তাদের প্লাটফর্মে পরিনত হয়েছে। সমাবেশ করা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, তা করবে। কিন্তু কোনরকম আইন ভঙ্গ করলে তা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে। তবে রাজপথের মোকাবেলায় আ.লীগের কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।
কবির বিন আনোয়ার বলেন, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আওয়ামী লীগের স্মার্টকর্মীরা ভোট চাইবে। এজন্য স্মার্ট কর্নার করা হচ্ছে। দক্ষকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চাইবে।
তথ্যপ্রযুক্তি আইন প্রসঙ্গে কবির বিন আনোয়ার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশবিরোধী বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছে। এখন সব পত্রিকাই অনলাইনে চলে গেছে। অনেকেই ছবি তুলে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার করছে, গুজবও সৃষ্টি করছে।
তিনি আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নত একটি রূপ। স্মার্ট বাংলাদেশের প্রাথমিকভাবে চারটি বিষয় এসেছে স্মার্ট গভর্নর, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট ইকোনমিক। দেশের প্রতিটি নাগরিককে স্মার্ট করে গড়ে তুলবো। আমাদের প্রতিটি জেলা কার্যালয়ে স্মার্ট কর্নার নির্মাণ করে আমাদের সন্তানদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি নির্বাচনী ইশতেহার ছিল। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করে তিনি দেখিয়েছেন। আর আগামী ২০৪১ সাল হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট কর্নার উদ্বোধন শেষে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মু. জিয়াউর রহমান এমপি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল ওদুদ এমপি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রুহুল আমিন, যুগ্ম সম্পাদক ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল এমপি, সহ-সভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রমূখ।