প্রকাশ: রোববার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১২:১৪ অপরাহ্ন
ডলারের দাম সর্বনিম্ন ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো। আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন এ দর।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) এক সভায় বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) ডলারের দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেয়।
দাম বাড়ার ফলে এখন থেকে রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবেন ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা এবং প্রবাসীরাও রেমিট্যান্সের প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবেন ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।
নতুন এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের ডলারের দাম একই পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে। আগে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম রপ্তানির চেয়ে বেশি ছিল।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমদানির বিপরীতে প্রতি ডলারের দাম হবে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা। দাম বাড়ার ফলে ঋণপত্র খুলতে আগের চেয়ে বেশি অর্থ খরচ করতে হবে আমদানিকারকদের, এরফলে পণ্য আমদানিতে খরচ বাড়বে।
আগে ব্যাংকগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবাসীদের প্রতি ডলারের জন্য ১০৯ টাকা এবং রপ্তানিকারকদের প্রতি ডলারের জন্য ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দিয়ে আসছিল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবেলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সংকট আরো বাড়ে।
গত অর্থবছর কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিক্রি করে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২১–২২ অর্থবছরে বিক্রি করে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।
এভাবে ডলার বিক্রির ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমে ২৩ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। ২০২১ সালের আগস্টে যা সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছিল।
পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর।
এরপর থেকেই সংগঠন দুটি মিলে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।
মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে এ দুই সংগঠন। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করা হয়েছে।