নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী চারটি উপজেলায় মাদকদ্রব্যের পাচার-চোরাচালান বন্ধ ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য কর্মপন্থা নির্ধারণের লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের সহায়তায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পত্নীতলা উপজেলা পরিষদ হলরুমে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন-জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান।
সমন্বিত কর্মপরিকল্পনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন-মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান।
স্বাগত বক্তব্য দেন-মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক লোকমান হোসেন, নওগাঁ সিভিল সার্জন ডা.আবু হেনা মোহাম্মদ রায়হানুজ্জামান সরকার, ১৪ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্ণেল হামিদ উদ্দিন,পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. রুমানা আফরোজ, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গাফ্ফার, ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান আজাহার আলী, সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন, পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্ মঞ্জুর মোর্শেদ।
বক্তারা বলেন, ব্যক্তি, পরিবার, সমাজজীবন থেকে মাদক নির্মূল করতে হলে মানুষের বিবেক ও মূল্যবোধের জাগরণ, সচেতনতা বৃদ্ধি, সেমিনার, কর্মশালার আয়োজন করতে হবে। প্রতিটি পরিবার প্রধানকে সর্তক ও সক্রিয় হতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় বিধিবিধান-সম্পর্কিত শিক্ষামূলক ক্লাস নিতে হবে। মাদকদ্রব্য উৎপাদন, চোরাচালান, ব্যবহার, বিক্রি প্রভৃতি বিষয়ে প্রচলিত আইনের বাস্তব প্রয়োগ করতে ও কঠোর বিধান কার্যকর নিশ্চিত করতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গ্রাম বা ওয়ার্ডকে সর্বনিম্ন স্তর ধরে মাঠ পর্যায়ে মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে। সারাবছর কোনো না কোনো ওয়ার্ডে মাদকবিরোধী কার্যক্রম চলবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হবে।
কর্মশালায় পত্নীতলা, ধামইরহাট, পোরশা ও সাপাহার উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বীরমুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে ১০টি গ্রুপ করে সবার কাছ থেকে মাদকনির্মূলে লিখিত সুপারিশ নেয়া হয়। পরে ছয়টি গ্রুপকে পুরস্কৃত করা হয়।
জ/আ