এস. কে সাত্তার, শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০২২, ৩:৪৮ অপরাহ্ন
নবান্ন মানে নতুন ধান বা অন্ন। নতুন ধানের চালের রান্নায় নতুন উৎসবই হচ্ছে নবান্ন উৎসব। সাধারণত অগ্রাহানে আমন ধান কাটার পরই নবান্য উৎসব শুরু হয় শেরপুর গারো পাহাড়ের গ্রামে-গঞ্জে।
আগ্রাহায়ন মানেই নবান্ন উৎসব হতেই হবে। তাই ইতোমধ্যে শেরপুর গারো পাহাড়ের গ্রামে গ্রামে নবান্ন উৎসবর ধূম পড়ে গেছে। গত ক’দিন গারো পাহাড়ের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, নবান্ন উৎসবে প্রায় প্রত্যেক বাড়ীর গৃহহীনিরা নতুন ধানের চালের আটা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।
গৃহবধূরা ঢেঁকিতে চাল কুটে গুড়ো করছে। চালের গুড়ো দিয়ে নানা রকমের পিঠা তৈরি করবেন তারা। জামাই দাওয়াত করবেণ নবান্ন উপলক্ষে। চলবে পিঠা পায়েশ খাবার ধূশ। চলছে ঘর-দোর পরিস্কার পরিছন্নের কাজ।
এলাকার প্রবীণ ব্যাক্তিত্ব. ডা. আব্দুল বারী, আলহাজ, শরীফ উদ্দিন সরকার, আলহাজ্, রেজায়ুর রহমান, সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব আলী ফর্সা বলেন, গ্রামের বধূরা সকাল হতে বিকাল পর্যন্ত বাড়ির উঠানসহ বিভিন্ন কাজকর্ম ব্যস্ত সময় পার করছেন।
যেন তাদের দম ফেলারও ফুসরত নেই। এছাড়া কৃষকের ঘরে ঘরে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরির প্রস্তুতি চলছে। নতুন ধানের চালে তৈরি হবে পায়েস, খিরসহ নানা জাতের পিঠা-পুলি।
আসন্ন নবান্নকে কেন্দ্র করে হাটবাজারগুলোতে নারকেল, গুড়সহ নানা উপকরণের বিক্রিও দাম দুটোই বেড়ে গেছে।