এস. কে সাত্তার, শেরপুর প্রতিনিধি
ইজিবাইক ও অটোরিকশার আধিক্যে শেরপুর জেলা ও উপজেলা শহরগুলোয় বাড়ছে যানজট। অতিষ্ঠ জেলা ও উপজেলা শহরবাসীগণ। প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারি ও বাসিন্দাগণ। ইজিবাইকের বেপরোয়া চলাচল ও চালকের অদক্ষতায় প্রায়:শই ঘটছে দুর্ঘটনা।
দ্রুত ফুটপাত দখলমুক্তসহ ইজিবাইক চলাচলে শৃঙ্খলার দাবি হাটুরে ও শহরবাসির। জানা গেছে, একসঙ্গে ১০ হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে নম্বরপ্লেট দিয়েছে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ। আদায় করা হয়েছে ৩-৫ হাজার টাকা।
শহরে চলাচলে ইজিবাইক ও অটোরিকশাগুলোকে জোড়-বেজোড় সংখ্যা এবং সাদা ও কমলা রঙে বিভক্ত করা হয়েছে। পৌরসভা ও পাশের ৫ ইউনিয়ন পরিষদের লাইসেন্সে ইজিবাইক- অটোরিকশার রং ভেদে এক দিন পরপর শহরে চলাচলের কথা।
কিন্তুু মানছে না কেউ। কোনো মনিটরিং না থাকায় ইচ্ছেমতো চলাছে যানগুলো। উপজেলা পয্যায়ে অদক্ষ চালকের বেপরোয়া চলাচলে ও বাড়ছে যানজট। ফুটপাত দখল করে হকারদের দোকানপাট ও অটোরিকশায় শব্দদূষণ ও যানজট নিত্যদিন।
ফলে চরম ভোগান্তিতে শেরপুর জেলা ও উপজেলাবাসী। স্থানীয়রা বলেন, শহরের কলেজ মোড়, খড়মপুর, নিউমার্কেট, থানা মোড়, গোয়ালপট্টি মোড় ও খোয়ারপাড় শাপলা চত্তরে অবৈধ পার্কিংয়ে ইজিবাইকই গলার কাঁটা শেরপুর শহরবাসীর। উপজেলা সদরগুলোর অবষ্থাও তথৈবচ।
জেলাশহরের খরমপুরের জুলফিকার হাসনাত হাসু বলেন, ‘নিউমার্কেট থেকে বাসস্ট্যান্ড যেতে সময় লাগে ২০-২৫ মিনিট। দেড় কিলোমিটার রাস্তা যাতায়াতে সময় লাগার কথা ৫- ৭ মিনিট। এতে সময় ও অপচয় হচ্ছে।
আরেক বাসিন্দা সুলতান মাহমুদ বলেন, শহরে জনসংখ্যার তুলনায় ইজিবাইকের সংখ্যা অনেক বেশি। প্রতি ইজিবাইক এক বা দুজন যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামায় যানজট লেগেই থাকে। শিক্ষার্থী মো.জুবায়ের বলেন, স্কুলে যেতে ৪০- ৪৫ মিনিট আগেই বের হতে হয়।
যানজটে ক্লাসে পৌঁছতে দেরি হয়। নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী বাপ্পী দে বলেন, পৌরসভার চেয়ে শহরে ইউনিয়নের গাড়ি বেশি হয়ে গেছে। গাড়ির সংখ্যা শহরের তুলনায় বেশি। নাগরিক প্ল্যাটফর্ম জনউদ্যোগ শেরপুরের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, শহরের রাস্তার চেয়ে গাড়িই বেশি।
ফুটপাত একদিকে দখলমুক্ত হলে অন্যদিকে দখল হয়। যানজট নিরসনে প্রশাসন ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন। জেলা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. রুবেল মিয়া জানান, যানজট নিরসনে ভোর ছয়টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বড় ও মাঝারি গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ।
অবৈধ ইজিবাইক ও অটোরিকশার বিরুদ্ধে ও অভিযান চলমান। শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন বলেন, নিয়মবহির্ভূতভাবে ইউনিয়ন পরিষদ ইজিবাইক ও অটোরিকশার লাইসেন্স দিচ্ছে। সবার সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ইউনিয়নে সীমিতসংখ্যক ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করার কথা থাকলেও নিয়ম মানা হচ্ছে না।
এ কারণে যানজট বাড়ছে। তবে মাঝেমধ্যেই অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ইজিবাইক জব্দ করা হচ্ছে। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ফারুক আল মাসুদ বলেন, প্রয়োজনে জরুরী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।