প্রকাশ: সোমবার, ১১ জুলাই, ২০২২, ২:০৮ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসা একটি উপজেলা। গতকাল রোববার সন্ধ্যা থেকে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে টানা ছয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। রাত একটার দিকে বিদ্যুৎ এলেও এর পর থেকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ গ্রাহকেরা।
গতকাল টানা ছয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না সদর, চুন্টা, শাহজাদাপুর, শাহবাজপুর ও কলীকচ্ছ ইউনিয়নে। এসব ইউনিয়ন ছাড়া উপজেলাজুড়েও দেখা দিয়েছে ঘন ঘন লোডশেডিং। এতে কোরবানির পশুর মাংস সংরক্ষণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় লোকজন। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) কর্তৃপক্ষের দাবি, কোনো লোডশেডিং নেই। হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এমন হচ্ছে।
বিউবোর আওতাধীন সদর, কালীকচ্ছ, শাহবাজপুর ও চুন্টা ইউনিয়নের স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ১০ থেকে ১৫ বার বিদ্যুৎ আসা–যাওয়া করছে। গরম যত বাড়ে, লোডশেডিং তত বাড়ে। ৫ থেকে ৭ দিন ধরে চলছে এমন অবস্থা।
উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, ‘অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কারণে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।’ শাহবাজপুর ইউপির চেয়ারম্যান খাইরুল হুদা চৌধুরী বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে লোডশেডিং অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন।’
উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মাহফুজ আলী অভিযোগ করেন, বিউবোর সরাইল কার্যালয়ের লোকজনের অবহেলা ও দায়িত্বহীনকার কারণেই বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছে।
এ বিষয়ে বিউবোর সরাইল উপজেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) আবদুর রউফ প্রথম আলোকে বলেন, এখানে আগে চাহিদা ছিল ৯ থেকে ১০ মেগাওয়াট, হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে হয়েছে ১৫ থেকে ১৬ মেগাওয়াট। এ কারণে এমনটি হচ্ছে।