গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর (টিআইবি) বিবৃতি রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, এ আইন পরিমার্জনে টিআইবি’র বিবৃতি সহায়ক নয়, বরং অন্তরায়।
রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে আজ শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সংসদীয় কমিটিতে অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জন-পরিবর্ধন হবে। এটা টিআইবি’র কোনো বিষয় নয়। এ সত্ত্বেও বিবৃতি দিয়ে তারা বিষয়টিকে রাজনৈতিক করার চেষ্টা করছে, যা এ প্রক্রিয়ায় সহায়ক তো নয়ই, বরং অন্তরায়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন সাংবাদিক, গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য। এটা দুর্নীতির কোনো বিষয় নয়। আর, আইনটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গেছে, সাংবাদিকনেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে এটি পরিবর্ধন-পরিমার্জন করা হবে। তাঁদের সঙ্গে এ নিয়ে আমার আলোচনাও হয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিআইবি আগ বাড়িয়ে বিবৃতি দিয়ে বিষয়টিকে রাজনৈতিক করার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে দুরভিসন্ধি আছে। নিজেদের কর্মপরিধির বাইরে গিয়ে সব বিষয়ে কথা বলা টিআইবি’র একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে দেখা যাচ্ছে। আমি মনে করি তাদের এ বিবৃতি গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জন-পরিবর্ধনের ক্ষেত্রে সহায়ক তো নয়ই বরং অন্তরায় হবে।’
এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ ডাকাতের সরকারে পরিণত হয়েছে, টিসিবি কার্ডও দলীয়করণ করেছে’ এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে ন্যায্য প্রাপ্যতার ভিত্তিতেই এক কোটি পরিবারকে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে, যাতে পাঁচ কোটি মানুষ উপকারভোগী। এখানে আমাদের দলীয় কোনো নেতাকর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, যাঁরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বিভিন্ন দল থেকেই রয়েছেন, তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
‘সব কিছুর মধ্যে রাজনীতির গন্ধ খোঁজাই বিএনপির সমস্যা’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দেওয়ায় মানুষে মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসায় ও জনগণ সাধুবাদ দেওয়াতে বিএনপির নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তাঁরা উদ্ভ্রান্তের মতো কথা বলছেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব ইদানিং যে ভাষায় কথা বলছেন, তা সিনিয়র রাজনীতিকের ভাষা নয় এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব আওয়ামী লীগকে ডাকাত বলেছেন, আসলে তাঁরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন বিশ্বডাকাতে পরিণত হয়েছিলেন এবং সে জন্য তাঁদের হাতে দেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।’