ঝিনাইদহে রাসূল (সঃ)কে কটুক্তি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাকে গণধোলাই

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৪৮ অপরাহ্ন

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় রাসূল (সঃ) কে নিয়ে কটুক্তি ও আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে এক বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা। অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের কর্মকর্তা এবং উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ডুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

রোববার (২০ এপ্রিল) তাহেরহুদা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রথমে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হলেও পরে তা জানাজানি হয়ে যায় এবং এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন ধরে নবী-রাসূলদের নিয়ে কটুক্তি করে আসছিলেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তিনি প্রকাশ্যে নানা সময় আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করেন গ্রামবাসী। সম্প্রতি ফের রাসূল (সঃ) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী তার কাছে ব্যাখ্যা চাইলে তিনি তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা তাকে ধরে গণধোলাই দেয় ও পরে পুলিশে খবর দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে। পরে মৌখিক মুচলেকার ভিত্তিতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তাহেরহুদা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য কাজী মোখলেসুর রহমান রাসু বলেন, "মোজাম্মেল হক আগেও এমন মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায় এলাকার যুবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মারধর করেছে। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে এবং সে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দেয়।"

এ বিষয়ে মোজাম্মেল হকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ঘটনার বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি এমএ রউফ খান বলেন, "এটি কয়েকদিন আগের ঘটনা। মোজাম্মেল হক 'আহলে কোরআন ওয়াল জামাত' মতবাদের অনুসারী এবং হাদিস মানেন না বলে জেনেছি। এ নিয়ে তার সঙ্গে গ্রামের মানুষের বিরোধ ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান। এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"

« পূর্ববর্তী সংবাদ

পরবর্তী সংবাদ »