প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:৪৬ অপরাহ্ন
ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের শ্রীরামপুর গ্রামের মাফুজার শেখের ছেলে রুবেল শেখ। আজ মঙ্গলবার ১৪( জানুয়ারী) সকাল ৭টার সময় প্রতিদিনের ন্যায় বাবা ছেলেসহ আরো সাতজন মিলে পাশের বাড়ীর মোশাররফ হোসেনের চারতলা ভবন নির্মাণের জন্য বেজের নিচে ১১ ফিট গভীর ২০ ফিট চওড়া একটি হাউজ খুড়তে যায় ১৫ দিন কাজ শেষে ১৬ তম দিনে কাজ করতে গেলে কাজ করার একপর্যায়ে উপর থেকে মাটি ভেঙে চাপা পড়ে যায় দিন মজুর রুবেল।
অন্য পাশে থাকা বাবা মাফুজার ও শ্রমিকরা চিৎকার দিয়ে মানুষ জড়ো করে সকলে মিলে রুবেলকে উদ্ধার এর জন্য চেষ্টা করে।
কোদাল দিয়ে কিছু সময় মাটি তোলার পর রুবেলের হাতের আঙ্গুল দেখতে পায় তখন উদ্ধারকারীরা স্থান সনাক্ত করতে পারে এই খানে রুবেল আছে, দীর্ঘ ৩০ মিনিট মাটি খুড়ার পর তাকে জীবিত উদ্ধার করার চেষ্টা সফল হয়, এ সময় রুবেল অজ্ঞান ছিল ও হাতের আঙ্গুলে কোদালের কোপ লেগে আহত হয়।
ভবন মালিক মোশারফ হোসেন বলেন, মাহফুজার ভাই ও তার ছেলে কে আমার বিল্ডিংয়ের হাউজ খুড়ার কাজ কনটাক্ট দিয়েছি কাজ শেষ পর্যায়ে আজ সকালে কাজে আসার পর এই দুর্ঘটনা ঘটে আমি ফায়ার সার্ভিসে ফোন করি তারাও এসেছিল আমরা তাকে আলফাডাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করি সে এখন সুস্থ আছে।
মোশাররফ হোসেন পেশায় একজন শিক্ষক সে প্বার্শবর্তী বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
রুবেলের মা রত্না বেগম প্রতিবেদক কে জানান আমার ছেলে ও স্বামী দৈনিক ৫০০টাকা হাজিরায় মোশাররফ হোসেনের বাড়ীতে বেজ খুচার কাজে যায়, আমি লোকজনের চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি আমার ছেলেকে দেখা যায় না সবাই মাটি খুড়তেছে তাই দেখে আমি কান্নাকাটি করতে থাকি, অনেক সময় পর আমার বাবারে তার উঠায়ছে আমার বাবা জীবন আল্লাহ ভিক্ষা দিছে।
আলফাডাঙ্গা সরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আবিদ হাসান এ প্রতিবেদককে জানান, সকালে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন রুবেল নামে একজন লোক কে নিয়ে আসে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি সে এখন সুস্থ আছে এবং তার হাতের আঙ্গুল কাটা আছে বেন্ডেজ করে দিয়ছি ভর্তি আছে চিকিৎসা চলমান রয়েছে সে এখন শংকা মুক্ত আছে।
দুর্ঘটনা কবলিত বাড়ীর পাশের প্রতিবেশিরা জানান বাড়ীওলা যে ভাবে তার ভবনের কাজ করছে তাতে দুর্ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক, নাম প্রকাশে একজন প্রতিবেশি বলেন, তার জমি ২.৫০ শতাংশ সে সব টুকু জায়গাজুড়ে ভবন নির্মাণের কাজ করছে একটু জায়গাতো রাখেই নাই বরংচ রাস্তা সহ বেজ খুড়ছে এত গভীর করে বেজ খুড়তে কখনো দেখি নাই এ কারনে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, তা ছাড়া এখানে কোন দক্ষ ইন্জিয়ার ও নেই যে সে কোন দিক নির্দেশনা দিবেন। আর এক পথচারী বলেন এই ভাবে কাজ করলে তো দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে এখানে কোন প্লান অনুমোদন থাকলে সে এ ভাবে কাজ করতে পারতো না।