প্রকাশ: শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪:৫০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫:৩৯ অপরাহ্ন
খাগড়াছড়িতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। সৃষ্ট সংঘাতের জেরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় খাগড়াছড়ি পৌরশহর ও জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পরে দুপুরের দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সহিদুজ্জামান।
সব পক্ষকে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থানের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, যে কোনো ধরনের সহিংসতা রোধে এ ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ সালের ১৪৪ ধারা মতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলাম। শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দীঘিনালায় সংঘর্ষের জেরে রাত সাড়ে ১০টার পরে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের নারানখাইয়া স্বনির্ভর এলাকায় ব্যাপক গুলির শব্দ শোনা যায়। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে তা কেউ নিশ্চিত করেনি।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শহীদুজ্জামান বলেন, রাত ১০টার পর আহতদের হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার পর দুজনের মৃত্যু হয়। একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়।
নিহতরা হলেন- ধনঞ্জয় চাকমা (৫০), রুবেল ত্রিপুরা (২৫) ও জুনান চাকমা (২০)। নিহতদের মধ্যে জুনান চাকমা ও রুবেল ত্রিপুরার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদরে এবং ধনঞ্জয় চাকমার বাড়ি দীঘিনালায়।
খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রিপল বাপ্পী চাকমা বলেন, দীঘিনালা ও সদর উপজেলা থেকে আসা ৯ জনের মধ্যে ৫ জন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সংঘর্ষ থেকে স্থানীয় বাজারে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় পুড়ে ছাই হয়ে যায় অর্ধশতাধিক দোকানপাট ও বসতবাড়ি।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরিফিন জুয়েল জানান, দীঘিনালায় বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে মামুন নামে এক যুবক হত্যার প্রতিবাদে কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং দোকানপাট ও বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।