প্রকাশ: রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৩২ অপরাহ্ন
ভারতের সীমান্তবর্তী সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গরু চোরেরা। তাদের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন এলাকার মানুষ। প্রতিরাত্রে সংঘবদ্ধভাবে হানা করে চোরের দল।
গত কয়েক মাসে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু চুরি হয়েছে এই অঞ্চল থেকে। গভীর রাতে গোয়ালঘর থেকে গরু চুরি করে নম্বরবিহীন ট্রাক ও সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যায় চোরেরা। আর এসব ঘটনায় খুব কম সংখ্যক চোর মামলার রেকর্ডভুক্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্তরা প্রশাসন কে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছে না। ফলে চোরের দল পার পেয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে। স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশের নজরদারির অভাবে এবং বিচারকার্যে ছাড় দেওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত গরু চুরি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নরসিংপুর ইউনিয়নের সাধারণ ছাত্র সমাজ বলেন, তাদের কাছে অনেক চুরির অভিযোগ আসতেছে, প্রতি রাতে গোয়াল ঘরে চোর হানা করে। যারা গৃহপালিত পশু লালন পালন করে তাদের রাত জেগে পাহারা দিতে হয়। নরসিংপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা জীবিকার জন্য গবাদিপশু পালন ও কৃষিকাজের সাথে জড়িত। তারা গরুর দুধ বিক্রি করে পরিবারের যোগান দেয়। কৃষি নির্ভর পরিবারগুলো গরু দিয়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। যখন তাদের মূল্যবান গরু চুরি করে নিয়ে যায় তখন হতদরিদ্র এসব পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়ে।
ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক ব্যক্তিরা জানান, দিনে দুপুরে মাঠ থেকে ও গোয়ালা ঘর থেকে রশি কেটে গরু গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। রাতে গাড়ির ভেতরে গরু দেখলে আটক করতে ভয় পায় সাধারণ জনগণ। কারণ পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয়। ফলে কাউকে আটক করা হয় না। যে কারণে সহজে পার পেয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরের দল। গত কয়েক মাস ধরে নরসিংপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় অর্ধশত গরু চুরি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে গরু চুরির একটি গোপন ঘর উন্মোচিত হয়েছে। লোক মুখরিত 'আয়না ঘর' নামে পরিচিত। আয়না ঘরে চোরেরা চুরি করা গরু এনে লুকিয়ে রাখে। স্থানীয় অনেক শিক্ষার্থীর দাবি এলাকার প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে চুরির কার্যক্রম চলছে, সাধারণ আমজনতার জন্য বিশাল এক আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাবশালীদের কারণে চোর চিহ্নিত হওয়ার পরও বিচার হচ্ছে না।
স্থানীয় বাকপ্রতিবন্ধী ভুক্তভোগী নুরজাহান বেগম, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রতিবন্ধী ভাতার মাধ্যমে ১টি গরু ক্রয় করেছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেও রক্ষা পায়নি চোরদের কাছে থেকে।
ইতিমধ্যে দোয়ারাবাজার থানায় চুরির অভিযোগ করেছেন মদ্বীনেরটুক গ্রামের ভুক্তভোগী বাকপ্রতিবন্ধী নুরজাহানের মা কাছামালা (৫৪)। গত ২ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. দোয়ারাবাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের নাম্বার [৪৩৩]। ভুক্তভোগী থানায় তাজিল ইসলাম (২৯), পিতা: মৃত আব্দুল হক ও সেবুল মিয়া (৪০), পিতা: মৃত হাবিব উল্লাহ; সাজু (২৪ পিতা: সানোয়ার হোসেন এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
দায়েরকৃত অভিযোগে কর্তব্যরত অফিসার কাছামালাকে আইনগত ব্যবস্থাপনা নেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু ভুক্তভোগীরা বলেন, অভিযোগ দেয়ার এত দিন পরেও থানা কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
টারজান’খ্যাত অভিনেতা রন আর নেই 
ইসরায়েলের ৭০ সেনা হত্যার দাবি হিজবুল্লাহর
পূর্বধলায় ৩৬ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ আটক ১
জাস্টিন ট্রুডোকে পদত্যাগের আলটিমেটাম
ডিবি হারুন ও তার স্ত্রীসহ ১২ জনকে দুদকে তলব
প্রদীপ নিভিয়ে আর অন্ধকার চাই না
কটিয়াদীতে জলপাইয়ের বিচি খেয়ে শিশুর মৃত্যু
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল সরকার
বঙ্গভবনের সামনে সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থীসহ ২ জন গুলিবিদ্ধ
