নরসিংদীসহ সারাদেশে শিক্ষার্থী হত্যা ও হয়রানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নরসিংদীর বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষকরা। শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিক্ষোভ মিছিলটি শেখ রাসেল পৌর মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নরসিংদী সরকারি কলেজের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষকরা। এসময় নরসিংদী সরকারি কলেজ, বিজ্ঞান কলেজ, ন্যাশনাল কলেজ অব এডুকেশন, পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ, নরসিংদী মডেল কলেজ, স্কলাস্টিকা মডেল কলেজ, ব্রাহ্মন্দী বালিকা বিদ্যানিকেতনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্তত ২শ শিক্ষক উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থী হত্যা ও হয়রানির বিচার দাবী করেন।
এসময় প্লেকার্ড হাতে নিহত শিক্ষার্থীদের বিচার দাবী করেন স্লোগানে স্লোগানে। রাজনৈতিক কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন নয়, শিক্ষার্থী হত্যা, মারধরসহ নানাবিধ হয়রানির বিপরিতে আলেচনা করেন তারা।
পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ আরিফ পাঠান তার বক্তব্যে বলেন, নতুন করে যদি পুলিশের বুলেট কোনো শিক্ষার্থীর গায়ে পড়ে। তবে পুলিশের সন্তানকে কোনো শিক্ষক আর পড়াবে না।
নরসিংদী বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষক নাজমুল আলম সোহাগ বলেন, সময় এসেছে রুখে দাড়াবার। আমার ছাত্রের বুকে যাতে আর একটা গুলি না চলে। যদি গুলি চলে তবে সরকারকে জবাব দিতে হবে।
ইমপিরিয়াল কলেজের শিক্ষক মইনুল ইসলাম মিরু বলেন, এই দেশ কারও ব্যাক্তিগত সম্পত্তি নয়। পুলিশ শিক্ষার্থীদের হযরানি করছে নিয়মিত। রাস্তায় ফোন চেক করা হচ্ছে কোন অধিকারে?
বেলাব রাবেয়া মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান জহিরুল ইসলাম মৃধা বলেন, আমার সন্তানদের নিরাপত্তা চাই৷ আর কোনো মায়ের বুক খালি হলে সরকার ও প্রশাসনকে শিক্ষক সমাজের মুখোমুখি হতে হবে।
নরসিংদী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগে সহকারি অধ্যাপক নাদিরা ইয়াসমিন বলেন, শিক্ষকদের আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। সময় এসেছে শিক্ষার্থীদের সাথে মাঠে নেমে আন্দোলন করার। এভাবে একটা দেশ চলতে পারেনা।
এদিকে বেলা ৩টার দিকে নরসিংদীর ভেলানগত জেলখানা মোড় ও মাধবদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রেখে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা, যানচলাচল বন্ধ। এসময় মাধবদী কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করে আন্দোলন কারীরা।