প্রকাশ: শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪, ৪:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪, ৪:০৯ অপরাহ্ন
অনেকেরই প্যানিক অ্যাটাকের সমস্যা আছে। প্রচণ্ড ভয় পেয়ে শরীরের মধ্যে যে অস্বাভাবিক অবস্থা তৈরি হয় চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় তাকেই প্যানিক অ্যাটাক বলা হয়।প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে ব্যক্তির নানান সমস্যা হয়। তারা প্রায় সব কিছুতেই ভয় পান। ভয় পাওয়ার কিন্তু কোনও কারণ থাকে না। তারপরও তারা ভয় পান। এই সময়ে অনেকেরই হাত পা কাঁপতে থাকে। যারা ঘন ঘন প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হন তাদের বের হতে হলে অবশ্যই কিছু বিষয় মানতে হবে।
প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণ: দ্রুত হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, প্রচুর পরিমাণে ঘাম হওয়া, বুকে ব্যথা হওয়া, গলা হাত অসাড় হওয়া, হাত-পা নাড়াচারা করতে অসুবিধা হওয়া, মাথা ঘোরা, হাত প্রচণ্ড কাঁপে, যেন মনে হয় মৃত্যু তাকে গ্রাস করছে।
যেভাবে বের হবেন-
শ্বাস নিন: গভীরভাবে শ্বাস নিন। প্রথমে শ্বাস খুব জোরে টানুন। তারপর আস্তে আস্তে সেটি ছাড়ুন। তাহলে দেখবেন আপনার স্নায়ুতন্ত্র আস্তে আস্তে শান্ত হবে। প্যানিক অ্যাটাক থেকে বের হতে পারবেন। সেই সঙ্গে শরীরও বেশ ভালো লাগবে।
পজেটিভ চিন্তা করুন : প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হবেন মনে হলে ,পজেটিভ চিন্তা করুন। এ সময়ে মনে খারাপ চিন্তা ভাবনা আনবেন না। তাহলে দ্রুত মানসিক চাপ কমতে থাকবে। তাহলে দেখবেন শরীর সুস্থ লাগবে।
কিছু বিষয় ভাবুন : প্যানিক অ্যাটাক থেকে বের হতে মনে মনে ভাবুন চারটি জিনিস আপনি সহজে স্পর্শ করতে পারবেন। তিনটি জিনিস আপনি শুনতে পান। দুটি জিনিস আপনি শুকতে পারবেন। একটি জিনিস আপনি স্বাদ নিতে পারবেন। আপনার মস্তিষ্ককে কাজে লাগান। তাহলেই আস্তে আস্তে আপনার উপর থেকে ভয় কাটতে থাকবে।
লম্বা হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ুন: যখন আপনার প্রচণ্ড পরিমাণে ভয় লাগবে, সেই সময়ে বা কোনও কিছু নিয়ে প্রচুর চিন্তা করবেন, সেসময় একদম লম্বা হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়বেন। হাত পা পুরো ছেড়ে দেবেন। এতে আপনার উদ্বেগ আস্তে আস্তে কমতে থাকবে। মনে কোন ভয় থাকলেও তা কমে যাবে।
মেডিটেশন করুন: প্যানিক অ্যাটাক থেকে বের হতে মেডিটেশন করুন। নিয়মিত করলে মানসিক চাপকে কমবে। স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করুন। পারলে হাত জোর করে বসে থাকতে পারেন। তাহলে দেখবেন অনেকটা শান্তি লাগবে আপনার। মনের ভয় কমে যাবে।
বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলুন: কোনও কারণে হঠাৎই যদি আপনি প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হন, যে বিষয় নিয়ে আপনি প্যানিক আক্রান্ত হচ্ছেন, সেই বিষয়ে পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন। আপনার অসুবিধার কথাগুলো তাকে জানান। তাহলে দ্রুতই সমস্যা থেকে বের হতে পারবেন।