বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ৮ কার্তিক ১৪৩১
 

ডিবি হারুন ও তার স্ত্রীসহ ১২ জনকে দুদকে তলব    সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ, ২৬ শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার     ঢাকা থেকে ৫ রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা    বিসিএসে সর্বোচ্চ ৩ বার অংশ নেয়া যাবে     ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ১৪ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা    ব্যাংকগুলোর সম্পদ মূল্যায়নের কাজ শুরু হবে নভেম্বরে: গভর্নর    গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে অব্যাহতি   
মুজিবনগরে নিষিদ্ধ ‘চায়না দুয়ারি' জালে চলছে অবাধে মাছ নিধন
হুমকিতে দেশীয় প্রজাতির মাছ
মেহেরপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশ: শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪, ৪:৩১ অপরাহ্ন

মেহেরপুরে মুজিবনগর উপজেলায় ভৈরব নদীতে চায়না দুয়ারি' জাল ব্যবহার করে নির্বিচারে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় জেলেরাসহ এক শ্রেণীর অসাধু মানুষ ।

যার ফলে হুমকিতে পড়েছে দেশিয় প্রজাতির মাছ।পুরো ভৈরব নদী জুড়ে অসংখ্য চায়না দুয়ারি জালের বিস্তার থাকলেও এসবের বিরুদ্ধে কোন ব‍্যবস্থা নিচ্ছেন না উপজেলা মৎস্য অফিস। 

এগুলোর বিরুদ্ধে চোখে পড়ার মত নেই কোন কার্যক্রম। এ যেন চোখ থাকিতেও অন্ধ।

খুব সহজে  মাছ ধরার এই জাল ব্যবহারে বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে দেশীয় প্রজাতির মাছ অস্তিত্বের সংকটে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মৃতপ্রায় ভৈরব নদী নতুন করে খননের ফলে হারিয়ে যাওয়া দেশিও প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
কিন্তু ভৈরব নদীতে ব্যাপকভাবে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহারের ফলে হারাতে বসেছে দেশিয় প্রজাতির মাছসহ নদীর জীববৈচিত্র।

এগুলো নিষিদ্ধ জালের তালিকায় থাকার পরেও মৎস্য অফিসের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে অবাধে চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহার করা হচ্ছে।

মাছের প্রজনন মৌসুমে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের পর এবার ভয়ংকর চায়না দুয়ারি নামক জালে দেশীয় প্রজাতির সব মাছ ধরা পড়ছে। শুরুর দিকে ভৈরব নদীতে এ জাল ব্যবহার হলেও এখন ছড়িয়ে পড়ছে প্রত্যন্ত গ্রামেও। বর্তমানে জেলে সহ স্থানীয়র অহরহ ব্যবহার করতে শুরু করেছেন এ জাল।

ভৈরব নদীর মিঠাপানির সব ধরনের দেশীয় প্রজাতির মাছ সূক্ষ এ জালের কানে ধরা পড়ছে। বিশেষ করে  মাছের প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা চিংড়ি, পুটি, ট্যাংরা, কই, শিং, বেলে, বোয়াল, শোল, টাকিসহ দেশি প্রজাতির সব মাছ চায়না দুয়ারির ফাঁদে নিধন হচ্ছে। সেই মাছশূন্য হয়ে পড়ছে বৈরব নদী।

জানা গেছে, চায়না দুয়ারি জালে এই ফাঁসের আকার সাড়ে ৪ সেন্টিমিটারের চেয়ে অনেক কম। ফলে এই জালে সব ধরনের মাছ ছেঁকে ওঠে। মাছের ডিম পর্যন্ত আটকে যায় এই জালে। সহজেই মাছ ধরা যায় এবং দাম কম হওয়ায় বেশির ভাগ জেলে এখন এ জাল ব্যবহার করছেন। কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ জালের তালিকায় এর নাম না থাকাকে কারণ দেখিয়েও অনেকে এই জাল ব্যবহার করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোপালনগর গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, দুপুর হলেই ছোট ছোট ডিঙিতে করে এই চানা দুয়ারি জাল নদীতে ফেলা হয়। 
সারা রাত নদীতে রাখার পর সকালে তুলে আনা হয়। এসময় জালে ধরা পড়ে দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় সব মাছ। নদীতে থাকা জলজপ্রাণী, এমনকি ওঠে মাছের ডিমও। এ জাল দিয়ে মাছ ধরলে কিছু দিন পর হয়তো নদীতে আর কোনো মাছ পাওয়াই কঠিন হবে।"

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে বলেন, 'আগে কারেন্ট জাল ব্যবহার করলেও চায়না দুয়ারি আসার পর সেটি বাদ দিয়েছি। কারণ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরলে প্রশাসন উৎপাত করে। এ ছাড়া কারেন্ট জালের চেয়ে চায়না দুয়ারিতে মাছ বেশি পাওয়া যায়। ৫০ হাজার টাকা খরচ করে আটটি চায়না দুয়ারি কিনেছি।"

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতি:) দায়িত্বে থাকা মেহেরপুর সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীন ইসলাম বলেন  'এই জালে মাছসহ নানা ধরনের জলজ প্রাণীও আটকে যায়। যেসব মাছ বাজারে বিক্রি হয় না, সেগুলোও ধরা পড়ে। কিন্তু সেগুলো জালে আটকে গেলে আর নদীতে ফিরিয়ে দেয়া হয় না। ফলে দেশীয় মাছসহ নানা ধরনের জলজ প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। আমি কয়েকদিন আগে যোগদান করেছি বিষয়গুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আমার আলাপ হয়েছে। অবিলম্বে এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft