প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪, ৭:১৭ অপরাহ্ন
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ধলেশ্বরী নদীতে নৌভ্রমণের ট্রলার ও বালু পরিবহনের বাল্কহেডের সংঘর্ষে নিখোঁজের দুই দিন পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে দুই জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
নিহত দুজন হলেন, জেলার সাটুরিয়া উপজেলার কামতা গ্রামের দানেজ আলীর ছেলে রফিক (৪০) ও সাটুরিয়া সদরের সেলিম হোসেনের ছেলে রাসেল (১৪)। তারা আনন্দ ভ্রমণে দূর্ঘটনা কবলিত ট্রলারের যাত্রী ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটার দিকে নদীতে ভাসমান দুই লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘিওর থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের কুশুন্ডা এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে মিলন মিয়া (১৬) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও দূর্ঘটনায় আহত ৪ জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় মানিকগঞ্জ কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা বারোটার দিকে এতথ্য নিশ্চিত করে ঘিওর থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, নিখোঁজ দুই জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। দূর্ঘটনা কবলিত দুটি নৌযান জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে জেলার সাটুরিয়া উপজেলার কামতা ও গোলড়া এলাকা থেকে শিশুসহ ৬০ জন যাত্রী নিয়ে এই ট্রলার নিয়ে নৌভ্রমণে বের হন। তারা যমুনা নদীর শিবালয় ও দৌলতপুর উপজেলার মোহনায় বেড়ানো শেষে সন্ধ্যার পর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে কুশুন্ডা এলাকায় রাত সাড়ে দশটার দিকে বিপরীত দিক থেকে আসা বিশালাকৃতির এক বালু পরিবহনের বাল্কহেডের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দূর্ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে ডুবে যায় ইঞ্জিন চালিত ট্রলারটি। বেশিরভাগ যাত্রীরা সাঁতরে তীড়ে উঠলেও নিখোঁজ ছিলেন এই দুইজন।