প্রকাশ: রোববার, ২৩ জুন, ২০২৪, ৭:২০ অপরাহ্ন
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় আজ রোববার পানিতে ডুবে তাসকিন (৭), নোমান (৮) ও সালমা আক্তার (২১) নামের এক নারীসহ দুই শিশু মারা গেছে।
তাসকিন (৭) সদর উপজেলার সাতপাই (উল্লা বাড়ি) গ্রামের মোঃ আল মামুনের ছেলে, নোমান ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের পাঁচমারকেন্ডা গ্রামের মোহাম্মদ আলী'র ছেলে ও সালমা উপজেলা আগিয়া ইউনিয়নের টিকুরিয়া গ্রামের নওয়াব আলীর মেয়ে ও বিশকাকুনী ইউনিয়নের মফিজুল ইসলামের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার বিকাল আড়াইটার দিকে তাসকিন মা-বাবার সঙ্গে পাঁচমারগেন্ডা গ্রামে নানা আমছর আলীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। তাসকিন তার নানার বাড়িতে থাকা খালাতো ভাই নোমানকে সঙ্গে নিয়ে সাড়ে তিনটার দিকে ঘুরতে বের হয়ে সাড়ে চারটায় বাড়িতে ফিরে না আসায় আত্মীয় স্বজনসহ অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করে। পরে আজ রোববার সকালে তাদের নানী পারভিন আক্তার বাড়ির ৩০০ গজ উত্তর পাশে কংস নদের শাখা দেইড়া গাং নদীতে ভাসমান দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। এই সংক্রান্তে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নোমানের বাবা-মায়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে সে নানার বাড়িতে বসবাস করত।
অপরদিকে একই দিন সকালে উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের টিকুরিয়া গ্রামের নবাব আলীর মেয়ে ও বিশকাকুনী ইউনিয়নের বিশকাকুনী গ্রামের মফিজুল ইসলামের স্ত্রী সালমা আক্তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। আজ রোববার সকালে হাতমুখ ধোয়ার সময় বাড়ির সামনের পুকুরে পড়ে যায় সালমা। ঘরে ফিরতে দেরি হওয়ায় সালমার মা জোৎস্না বেগমসহ বাড়ির লোকজন পুকুরে খোঁজাখুঁজি করে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম প্রতিটি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।