প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪, ১২:১৬ অপরাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের মূল বেড়িবাঁধের প্রায় ৪০ মিটার ধসে গেছে। গতকাল রাতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে বাঁধটির মোহনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
উপজেলার মোহনপুর এলাকার বাসিন্দা সেলিম মাহমুদ বলেন, আমরা মঙ্গলবার সকালে বাঁধ ধসে পড়ার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে এলাকার লোকজন নিয়ে সেখানে যাই। গিয়ে দেখি বেড়িবাঁধটির দক্ষিণ-উত্তর পাড়ের অন্তত ১০০ ফুট জায়গা মেঘনার দিকে ধসে পড়েছে। এ সময় বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।
জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে সেচ প্রকল্পের ৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই মূল বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে এ পর্যন্ত দুবার এটি ভেঙে যায়। লাখ লাখ টাকার ফসল ও ঘরবাড়ি বিনষ্ট হয়। সেচ প্রকল্পের মূল বেড়িবাঁধ ঘুরে দেখা গেছে, মোহনপুর এলাকায় ৪০ মিটারের বেশি এলাকা ধসে গেছে। সেখানে বিরাট গর্ত ও ফাটল দেখা দিয়েছে। বাঁধটির ধসে পড়া স্থান দেখতে সেখানে ভিড় করছেন স্থানীয়রা।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প পানি ব্যবহারকারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মো. আলাউদ্দিন বলেন, নির্মাণের পর থেকে এ পর্যন্ত দুবার বাঁধ ভেঙে যায়। লাখ লাখ টাকার ফসল ও ঘরবাড়ি বিনষ্ট হয়।
তিনি জানান, মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেরিবাদ সুরক্ষার জন্য সরকার বরাদ্দ দিয়েছেন তবে গতকাল ঘূর্ণিঝড় রেমালের জলোচ্ছ্বাসে বেরিবাদের জায়গায় ক্ষতি হয়েছে তা মেরামতের আপাতত কোন বরাদ্দ নেই। আমি মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত মেরামতের চেষ্টা করব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার একি মিত্র চাকমার ফোনে একাধিকবার ফোন (০১৭৩০০৬৭০৬৬) দিলেও ফোন রিসিভ করেনি তিনি।
মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী(ভারপ্রাপ্ত) মো. ওয়াহিদুর রহমান ভূঁইয়া মুঠোফোনে জানান, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের লোক মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেরিবাদে পরিদর্শনে গিয়েছে। কোন কোন জায়গায় ক্ষতি হয়েছে, কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে, তারা আসলে আমরা জানতে পারবো। পরে আমরা প্রস্তাব আকারে বরাদ্দের জন্য প্রস্তাব পাঠাব। বরাদ্দ আসলে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলো মেরামত করা হবে।
মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা চাঁদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত পালের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।